আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভোট নিয়ে পালিয়ে গেছেন, এখন আর এলাকার খবর রাখেন না বলে মন্তব্য করেছেন তার ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌর মিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদে নবনির্বাচিত তিন অনুসারীর সংবর্ধনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদের মির্জা বলেন, প্রশাসন টাকা নিয়ে পাঁচটা ইউনিয়নে আমার প্রার্থীদের পরাজিত করেছে। এসব দেখার কেউ নেই। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভোট নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এখন আর এলাকার খবর রাখেন না।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের জামায়াতকে হারিয়ে তিন ভাগনেকে জেতাতে প্রশাসনকে বলেছেন। কিন্তু চরপার্বতীতে ভাগনেকে জেতাতে না পেরে আমার প্রার্থীকে হারাতে তিনি জামায়াতের প্রার্থীকে জিতিয়েছেন।
কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, নোয়াখালীর এসপি ভোটের দিন আমাকে বের হতে নিষেধ করে অপশক্তিদের মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন। তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে ৫০ ভাগ ভোট রাতে ঢুকিয়ে আমার প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কয়দিনের জন্য ওমরায় যাবো এবং আগামী ১০ তারিখ (মার্চ) চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাবো। তারপর খেলা হবে। সমস্যাভিত্তিক আন্দোলন করবো। ভূমি দখল, খাল দখল, নদী দখলসহ সব অনিয়মের বিরুদ্ধে মাঠে নামবো।
বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি কাউকে পরোয়া করি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। বিষয়টি আমি শেখ হাসিনাকেও বলেছি। ওবায়দুল কাদের ভাগনেদের জেতানোর জন্য ভোট চুরি করিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি (কাদের মির্জার অনুসারী) ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুছাপুর ইউনিয়নে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, চরহাজারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন সোহাগ, সিরাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান ইমাম বাদল, সাবেক কাউন্সিলর আবুল খায়ের, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভিন মুরাদ ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুন্না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।