বোম্বাই মরিচ চাষে পটুয়াখালীতে ভাগ্য বদলেছে চাষিদের!

কৃষি ও প্রকৃতি breaking subled

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের চাষিরা সুগন্ধি মরিচের চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। বাঁশ আর পলিথিনের তৈরি শেড পদ্ধতিতে এখন ১২ মাসই চলছে সুগন্ধি মরিচের আবাদ। অল্প জমিতে মরিচ চাষ করে আর স্বল্প পরিচর্যায় মিলছে বেশি মুনাফা। ফলে দেশি প্রজতির এই সুগন্ধি মরিচের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

জানা যায়, আঞ্চলিক ভাষায় সুগন্ধি বোম্বাইকে বলা হয় ঘৃত বোম্বাই মরিচ। অনেকের কাছে নাগা মরিচ হিসেবেও পরিচিত। বাঁশ ও পলিথিনের মাচায় ১২ মাসেই এই মরিচের চাষ করা যায়। রোদ কিংবা বৃষ্টিতে তেমন কোন রোগ বালাইয়ের আক্রমণ হয় না। তাই সামান্য উৎপাদন খরচে লাখ টাকা আয় করছেন চাষিরা। উপকূলীয় কৃষকরা দিন দিন এই মরিচের চাষে ঝুঁকছেন।

ইসলামপুর গ্রামের সুগন্ধি মরিচ চাষি ইব্রাহীম বলেন, আমি আমার ১৮ শতক জমিতে বাঁশ ও পলিথিনের শেড তৈরী করে প্রায় ৭ শাতাধিক মরচের চারা রোপন করেছি। মরিচের বাগানটি তৈরী করতে মাত্র ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অধিকাংশ গাছেই মরিচ এসেছে। আশা করছি প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবো।

চাষি নজরুল বলেন, বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে শেড তৈরী করে ১২ শতক জমিতে প্রায় ৫ শতাধিক মরিচের চারা রোপন করেছি। উৎপাদিত মরিচ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, এবছর অনাবৃষ্টি থাকায় রোদের তীব্রতায় কিছু মরিচের ফুল ঝড়ে পাড়ে যায়। তানাহলে আরো বেশি টাকার আয়ের আশা করতে পারতাম। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই সুগন্ধি মরিচের চাষ করবো।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, আমারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষকরা যাতে চাষে আরো উন্নতি করতে পারে তাই তাদেরকে বালাইনাশক সহ যাবতীয় সকল ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। আশা করছি কৃষকরা আরো উদ্যোগি হয়ে উঠবেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *