বিএম ডিপোর আটকে থাকা কনটেইনার উঠছে জাহাজে

জাতীয় breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- বিএম কনটেইনার ডিপোতে আটকে পড়া রপ্তানি কনটেইনার অবশেষে জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫৪ একক রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার ডিপো থেকে

চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে জাহাজীকরণ হয়েছে। আরো ৩৫৭ একক কনটেইনার প্রস্তুত হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ডিপোতে আটকে পড়া রপ্তানি পণ্যের জটিলতার অবসান হচ্ছে।

তবে সব কনটেইনার জাহাজে তুলতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। রপ্তানির পাশাপাশি আমদানি পণ্যের কনটেইনারও ছাড় শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে বিএম ডিপো থেকে পণ্য ছাড় শুরু হওয়ায়

আমদানি-রপ্তানিকারকদের স্বস্তি ফিরেছে। বিএম ডিপোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দ্রুত সেবা দিয়ে ডিপোতে আটকে পড়া রপ্তানি ও আমদানি পণ্যের কনটেইনার ছাড়িয়ে নিতে। যেসব আবেদন পেয়েছি তার মধ্যে বেশির ভাগেরই নিষ্পত্তি করেছি অত্যন্ত কম সময়ে। ’

অক্ষত কনটেইনারগুলো যাতে দ্রুত জাহাজীকরণ হয় সে জন্য জোর পদক্ষেপ ছিল, সেটিও বেশ সফল হয়েছে উল্লেখ করে উত্তম চাকমা বলেন, ‘৭২টি রপ্তানি পণ্য ছাড়ের আবেদনের মধ্যে ৪২টি নিষ্পত্তি করেছি। ২৪টি ইনভেন্ট্রি পর্যায়ে অর্থাৎ জাহাজীকরণ প্রক্রিয়ায় আছে। আর অন্য ডিপো হয়ে রপ্তানির জন্য ২৩টি আবেদন পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে, বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। ’

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাসায়নিক থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হয় শতাধিক। বিস্ফোরণের আগ পর্যন্ত সেই ডিপোতে সব মিলিয়ে চার হাজার ৩১৮ একক কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার ছিল ৮৬৭ একক, আমদানি পণ্যের কনটেইনার ছিল ৫৫৭ একক। আর খালি কনটেইনার ছিল সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৮৯৭ একক।

ডিপোর হিসাবে, ৬ জুলাই থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার ছাড় করা শুরু হয়েছে। আর ৮ জুলাই থেকে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার ছাড় শুরু হয়েছে। ৮ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৫৪ একক রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে জাহাজীকরণ হয়েছে। বেশ কিছু কনটেইনার এরই মধ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে পৌঁছেছে। আর ১০টি কনটেইনার যেকোনো মুহূর্তে জাহাজীকরণ হবে। সেই সঙ্গে আরো ৩৪৭ একক কনটেইনার রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের প্রস্তুতি চলছে।

ডিপোর হিসাবে, এরই মধ্যে ২৫২ একক আমদানি পণ্যের কনটেইনার ডিপো থেকে ছাড় নিয়েছেন আমদানিকারকরা। আরো কিছু আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির পরই ছাড় করা হবে।

জানা গেছে, বেশ কিছু আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার নষ্ট হয়েছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে। সেগুলো নিষ্পত্তি হতে কিছুটা সময় লাগবে। কত দিন সময় লাগবে, তা পণ্যের ক্ষতির ওপর নির্ভর করছে।

জানতে চাইলে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই খুশি ও স্বস্তির খবর যে শেষ পর্যন্ত অক্ষত কনটেইনারগুলো জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে, যেটা আমাদের মূল দাবি ছিল। এ জন্য কাস্টমস অনেক পরিশ্রম করেছে। আমরা এখনো বলছি ডিপোর কী হবে, সেটি তদন্তের পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু পণ্যভর্তি কনটেইনারগুলো পড়ে থাকাটার সঙ্গে ভাবমূর্তি জড়িত ছিল। ’

তিনি বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতার অনুমতি সাপেক্ষেই অক্ষত রপ্তানি কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে। ক্রেতার কাছে পৌঁছার পরই আমরা ফিডব্যাক পাব তারা কিভাবে সেগুলো গ্রহণ করেছেন। ’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *