নিউজ ডেষ্ক- বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়া ৩৩ কেজি ওজনের পোপা মাছের দাম হাঁকানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বুধবার ভোরে এফবি ইসমাঈল ফিশিং ট্রলার থেকে ফেলা জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে বেলা ১টার দিকে ট্রলারটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ফিশারিঘাটে ভেড়ানো হয়। সেখানে পোপা মাছটির দাম হাঁকানো হয় ১০ লাখ টাকা।
ট্রলারটির মালিক মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, সোমবার সকালে মাছ ধরার জন্য টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাট থেকে ১০ জেলে ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যান। বুধবার ভোরে তাঁরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পাশে সাগরে জাল ফেলেন। জাল ওঠাতে গিয়ে দেখেন, ১৫টি লাল কোরাল ও একটি বড় পোপা মাছ ধরা পড়েছে।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতা উল্লাহ বলেন, এক মাস ধরে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও জেলেরা অন্য মাছ তেমন পাচ্ছিলেন না। এরই মধ্যে কয়েকটি ট্রলারে কিছু পরিমাণ লাল কোরাল ধরা পড়েছে। এখন জেলেরা পোপা মাছ ও লাল কোরালের আশায় সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
স্থানীয় লোকজনের কাছে মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত। এ মাছের মূল আকর্ষণ হলো পেটের ভেতর থাকা পটকা বা বায়ুথলি (এয়ার ব্লাডার)। এই বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়। এ জন্য পোপা মাছের এমন চড়া দাম। তবে বুধবার রাত সাড় ৯টা পর্যন্ত মাছটি বিক্রি হয়নি।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আমির আহমদ বলেন, চলতি বছর এখানকার ফিশিং ট্রলারে আরও দুটি কালা পোপা মাছ ধরা পড়েছিল। এই মাছের পটকা থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়। তাই এ মাছের দাম এত বেশি। এ ছাড়া মাছটি কেটে বিক্রি করলে প্রতি কেজি ৫৫০-৬৫০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব।
ট্রলারমালিক মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেছেন, স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী মাছটি পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছেন। তবে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় তিনি মাছটি ভালোভাবে বরফ দিয়ে কক্সবাজারে পাঠিয়েছেন। বিদেশে মাছের পটকা রপ্তানি করেন এমন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পোপা মাছের বায়ুথলি বেশ মূল্যবান। এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে।