সাজেকে উপচেপড়া ভিড়, মসজিদ-গাড়ি-আকাশের নিচে’ হাজারও পর্যটক

বাংলাদেশ breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- শারদীয় দুর্গাপূজা, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীরসহ টানা ছুটিতে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে দেশের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্র। সব স্থানেই এখন উপচেপড়া ভিড়। আর মেঘের উপত্যকা রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে সেই ভিড় অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে আগে রুম বুকিং না করায় বিপাকে পড়েছেন সেখানে যাওয়া পর্যটকেরা।এ জন্য অনেক পর্যটককে থাকতে হচ্ছে গাড়িতে, মসজিদের, রিসোর্টের বারান্দার বা খোলা আকাশের নিচে।

অনেকের আবার সে স্থানও জুটছে না। পর্যটকদের অভিযোগ, চার হাজার টাকার রুম প্রায় তিনগুন দাবি করছেন রিসোর্ট মালিকরা। আর মালিকরা দাবি করেছেন, নির্ধারিত ভাড়া ছাড়া কোনো বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মন বলেন, “যারা পরিকল্পনা ছাড়া সাজেকে এসেছেন তারাই বিপাকে পড়েছেন। আমাদের কটেজ আছে ১১২টি। রিসোর্টগুলোতে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারে। সাজেকে আজ তিন শতাধিকের বেশি গাড়ি প্রবেশ করেছে। ২০০ গাড়ি এলে প্রায় চার হাজার পর্যটক হয়ে যায়। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কী পরিমাণ পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা অনেককে রাতে থাকার জন্য আশপাশে বাসা বাড়িতে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। রুম বুকিং ছাড়া কেউ যেন সাজেক বেড়াতে না আসেন।”

তবে তা কেউ শুনছে না। ক্রমাগত পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছেই। ইতিমধ্যে বুকিং রয়েছে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলের রুম। কটেজ, রিসোর্ট ছাড়াও কমিউনিটি ব্যাচে (সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরে) থাকছেন পর্যটকরা। দীর্ঘ ছুটি পেলেই পর্যটকরা ছুটে আসেন মেঘ পাহাড় আর লেকের সৌন্দর্য উপভোগে। যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। এসময় সাজেকে বেড়াতে যাওয়া এক ব্যাক্তি বলেন, “আমি গতকাল এসেছি। আগেও অনেকবার এসেছি। এত মানুষ আর আগে কখনো দেখিনি। গতকালও অনেক লোকজন রুম না পেয়ে আশপাশে পাড়ায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন। ছুটির কারণে লোকজনের চাপ অনেক। সেই সুযোগে অনেক রিসোর্ট ভাড়া ও খাবারের দামও কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।”

মূলত শুক্রবার-শনিবার প্রচুর পর্যটক হয় সবসময়। এর সঙ্গে সরকারি কোনো বন্ধ থাকলে পর্যটকের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, “রুম সংকটের বিষয়টি শুনেছি। তবে যারা আগে রুম বুকিং করে সাজেক গিয়েছে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাই পর্যটকদেরও জেনে শুনে আসা উচিত।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *