সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না রাজপথে শক্তি দেখিয়ে: সিইসি

breaking subled রাজনীতি

নিউজ ডেষ্ক- প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে রাজপথে শক্তি দেখিয়ে সত্যিকারের যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন সেটা হবে না। আপনাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে। নেপালের ‘ইলেকশন অব হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও প্রভিনশনাল এসম্বলি’ পরিদর্শনে ১৮-২২ নভেম্বর নেপাল সফর শেষে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন,প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমি বলবো-রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে রাজপথে শক্তি দেখিয়ে সত্যিকারের যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন সেটা হবে না। আপনাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে, নির্বাচনের মাঠে নির্বাচনের নীতি, বিধি আছে সে অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

সিইসি বলেন,নির্বাচনী মাঠে ভারসাম্য আনতে হবে দল ও প্রার্থীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে দলগুলো প্রার্থী, এজেন্ট দিয়ে ভারসাম্য তৈরি না করলে পুলিশ-মিলিটারি দিয়ে সব সময় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন সিইসি।

এক প্রশ্নেট জবাবে সিইসি বলেন, দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হোক এবং সংলাপ চলুক। সেই সঙ্গে সরকার, রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতা না থাকলে নির্বাচনটাকে কাঙ্খিত মাত্রায় সফল হবে না। তাদের সহযোগিতা পেলে নির্বাচনটা আরও বেশি সফল হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে ডায়ালগ একেবারেই হচ্ছে না-আমরা দেখছি। এটা হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কারণ, আমরা রাজনীতিতে জড়িত হতে চাই না। কিন্তু রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে আমাদের আবশ্যক সহায়তা প্রত্যাশা করি।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন,আমাদের এই বক্তব্যটা যদি দলগুলোর কাছে যায়- রাজনৈতিক দলগুলোর প্রজ্ঞা রয়েছে; উনারা চিন্তা করবেন-রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সুন্দর নির্বাচন হবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। সব দলগুলো বলতে চাচ্ছেন, রাজপথে দেখা হবে, রাজপথে শক্তি পরীক্ষা হবে। … রাজপথে শক্তি দেখিয়ে সত্যিকারের যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন সেটা হবে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ, পুলিশ দিয়ে কিন্তু ব্যালেন্স তৈরি হবে না। ব্যালেন্সটা তৈরি হবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, তাদের ইলেকশন এজেন্ট, তাদের প্রার্থী, তারাই প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালেন্স তৈরি করতে হবে।তারা যদি সেই ভারসাম্য তৈরি না করেন তাহলে পুলিশ-মিলিটারি দিয়ে সব সময় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও আস্থাভাজনভাবে উঠিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *