নিউজ ডেষ্ক- এবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ফ্লপ নয়, সেখানে এক লাখের মতো জনসমাগম হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে লোক সমাগম নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা সঠিক তথ্য তুলে ধরছেন না।
এদিকে বিএনপি গত কয়েক বছরে যেভাবে লোক সমাগম করেছে সে তুলনায় এটাকে ফ্লপ বলা আমার মনে হয় সঠিক নয়। আমরা শুধু তাদের বলি শান্তিপূর্ণ থাকেন। আজ রবিবার ১৬ অক্টোবর দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, সমাবেশে বিএনপির লোক দেখে আমরা ভয় পাই না। তারা যত লোক টার্গেট দেয় ততো লোক কি হবে? (বিএনপির সমাবেশে লোক সমাবেশ নিয়ে) অনেকে অনেক কথা বলেছে, ৩০, ৩৫ বা ৫০ হাজার লোক হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে বলেছি, লাখের কাছে লোক হয়েছে। সত্যকে আড়াল করে তো লাভ নেই, সত্য আড়াল করব কেন? এটা আওয়ামী লীগের বহু লোক স্বীকার করতে চাইবে না, বলবে ৩০ হাজার, ২৫ হাজার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি গত কয়েক বছরে যেভাবে লোক সমাগম করেছে সে তুলনায় এটাকে ফ্লপ বলা আমার মনে হয় সঠিক নয়। আমরা শুধু তাদের বলি শান্তিপূর্ণ থাকেন; ঢাকায় ১০ লাখ বসান, আমরাও ৩০ লাখ বসাতে পারি। কিন্তু যানযজটের কি অবস্থা হবে? অভাব ও কষ্টে রয়েছে এ ধরনের কিছু মানুষ বিএনপির সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন বলে দাবি করেন কাদের।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দেশে চোখে পড়ার মতো কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। এখন তাদের আন্দোলন দেখে সরকারের মাথা ঠিক আছে। বিএনপিকে বলব, আপনাদের মাথা যেন খারাপ না হয়। মাথা খারাপ করে আবার পেট্রল বোমা নিয়ে নামবেন, আমরা তো সেই ভয় করছি।
এ সময় বিএনপি কাঁধ থেকে তত্ত্বাবধায়কের ভুত নামাতে পারছে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ইভিএমের পক্ষে, কারণ এতে জালিয়াতির শঙ্কা নেই। অথচ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ইভিএমের বিপক্ষে, আর বিরোধী দল পক্ষে। আর আমাদের ফখরুলরা ইভিএম চাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, দেশের সংবিধান সম্মত নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান করবে। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন চাইছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত কেন নামাতে পারছে না বিএনপি? নির্বাচনে ইভিএম থাকুক সরকারি দল শতভাগ দাবি করছে। নির্বাচন কমিশন কতটুকু দেবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।