রাসেলের জীবন বদলে দিয়েছে ড্রাগন চাষ

উদ্দোক্তা ও সাফল্যের গল্প breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- মাহমুদুর রহমান রনি, বরগুনা: ড্রাগন চাষ একটি লাভজনক কৃষি। এই ড্রাগন চাষ করে বরগুনার পাথরঘাটার হাতেমপুরে ড্রাগন চাষী রাসেল বদলে গেছে জীবন। রাসেল লেখাপড়া শেষে কোন চাকরি না পেয়ে ২০১৭ সালে পাথরঘাটা যুব উন্নয়ন থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২০ শতক জমিতে ৬০ খুঁটিতে ড্রাগন চাষ করে। সেই থেকে ক্রমশ ড্রাগন বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। এখন রাসেলের ৪০ শতাংশ জমিতে ২১০টি খুঁটিতে ড্রাগন গাছ রয়েছে। বর্তমানে ৯০টি খুঁটির গাছ থেকে ড্রাগন ফল পাচ্ছে সে । এবছর প্রায় সে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ড্রাগন ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চারা বিক্রি করে। সকল খরচ বাদ দিয়ে রাসেলের এখন বাৎসরিক লাভ ৮ লাখ টাকা প্রায়।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে উপজেলায় মোট ২২০ শতাংশ জমিতে ৪৫ ড্রাগন বাগান রয়েছে। সকল বাগানেই ফলের উৎপাদন ভালো এবং ফল বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

ড্রাগন চাষি রাসেল বলেন, আমি লেখাপড়া শেষ করে কোন চাকরি না পেয়ে যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ নিয়ে ড্রাগ চাষ শুরু করি ,আস্তে আস্তে বাগানের আয়তন বৃদ্ধি করেছি । ভবিষ্যতে আরো বড় বাগান করার স্বপ্ন রয়েছে আমার।এখন আমার বাগানে মেক্সিকো রেড, তাইওয়ান রেড, হোয়াইট বিউটি, থাই, ভিয়েতনাম হোয়াইট, ইসরাইল ইয়েলো, পিংকসহ প্রায় ১২ প্রজাতির ড্রাগন রয়েছে।রাসেলের আরো বলে আমার বাগানে একটি ড্রাগন ফল ৮০০-৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়। বছরে শীত মওসুমে প্রায় চার মাস ছাড়া বছরের বাকি আট মাস ড্রাগনের ফলন অব্যাহত থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির বড়াল বলেন, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো। রাসেলের ড্রাগন চাষ দেখে অনেকেই ড্রাগন চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের উৎসাহিত করছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *