মৌ চাষে বাৎসরিক‌ ৫ লক্ষাধিক আয় করেন বৃদ্ধ মহিবুল্লাহর

উদ্দোক্তা ও সাফল্যের গল্প

নিউজ ডেষ্ক-</strong> চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের ৭৫ বয়সী মহিবুল্লাহ। দীর্ঘ ১৫ বছর পরিশ্রম করে বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি চাষ করে সফল হয়েছেন। মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ণ হওয়ায় ফসল উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে তার আম বাগানের।

জানা যায়, মাগুরা জেলা থেকে মৌমাছি পালনের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৭ সালে নিজ এলাকায় তার আম বাগানে আদর্শ মৌ খামার নামে অল্প পরিসরে ৪-৫ টি বক্স নিয়ে মৌ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ৩৮টি দ্বিতল ও ৪২টি একক বাক্স রয়েছে। এই খামার থেকে প্রতি বছর ২৫-৩০ মণ মধু বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

আদর্শ মৌ খামারের মালিক মহিবুল্লাহ বলেন, এ খামারে মৌমাছি ও মধু তৈরি জন্য রয়েছে মেলেফিরিয়া জাতের রাণী, রাজা ও কর্মী মৌমাছি। রাণী ও রাজা মৌমাছি বংশ বৃদ্ধি করে, আর কর্মী মৌমাছি গুলো মধু সংগ্রহ করে। বর্তমানে ৩৮টি দ্বিতল ও ৪২টি একক বাক্স রয়েছে। বাক্সের দুটি মুখ দিয়ে মাছিগুলো বের হয়।

একক মৌ বাক্সে ৭টি ফ্রেম ও দ্বিতল বাক্সে রয়েছে ১২টি ফ্রেম। প্রতিটি ফ্রেমে এক থেকে দেড় হাজার মৌমাছি থাকে। বিভিন্ন জাতের ফুল ও ফলের মৌসুমে মৌমাছি গুলো বাক্স ধরে নেওয়া হয় মধু সংগ্রহের জন্য। মৌমাছি গুলো দল বেঁধে উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে আবার ফিরে আসে বাক্সে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মধু উৎপাদন বেশি হয়। বছরের অর্ধেক সময় বিভিন্ন জেলায় মৌমাছির বাক্সগুলো নিয়ে মধু সংগ্রহের জন্য যায়। প্রতি কেজি মধু ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বাজারে খাঁটি মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ বলেন, এ বয়সে তিনি মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে ২৫-৩০ মণ মধু আহরণ হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *