নিউজ ডেষ্ক– ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন কি না এটা একান্তই তার সিদ্ধান্ত। তিনি বিদেশে যেতে চাইলে সরকার তাকে বাধা দেবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এমনটা বলেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন কি যাবেন না, এটা তার নিজের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।”
নারীবিদ্বেষী অসৌজন্যমূলক বক্তব্য ও ফোনালাপে অশালীন কথোপকথনের পর সদ্য পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিদেশ যাত্রায় কোনো প্রকার বাধা নেই বলেও জানান কামাল।
জানা যায়, গত সোমবার সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মাঝেই ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে চলে যান ডা. মুরাদ। অশালীন, শিষ্টাচার-বহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় ওই রাতেই পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর থেকেই সম্ভাব্য কোন দেশে যাওয়া যায় তার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন মুরাদ। পরে চূড়ান্তভাবে কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথমে সপরিবারে যাওয়ার চিন্তা থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের ভিসা না থাকায় নিজে একাই আপাতত দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, পদত্যাগের আগ পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় মুরাদের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কাছে থাকলেও পদত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগে ব্যক্তিগত একজন সহকারীকে দিয়ে তা নিজের কাছে নিয়ে নেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের পর লাল পাসপোর্টটি জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেটি এখনো জমা দেননি।
যদিও লাল পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। কেননা লাল পাসপোর্টধারী ব্যক্তি সরকারি আদেশ (জিও) ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন না। কেননা ডা. মুরাদের জিও না থাকায় বিদেশগমনে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। এ অবস্থায় তার বিদেশগমন অনিশ্চিত হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে ডা. মুরাদ হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।