নিউজ ডেষ্ক- মালচিং পদ্ধতিতে রঙিন তরমুজ চাষ করে সফল নওগাঁর ধামইরহাটের কৃষক বাবুল হোসেন। বাজারে রঙিন তরমুজের বেশ চাহিদা রয়েছে। কৃষকরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো বাজারদরে খুশি। কৃষক বাবুলের তরমুজ চাষে সফল হতে দেখে অনেকেই রঙিন তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, কৃষক বাবুল হোসেন নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ১৭ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে ব্ল্যাক বেরি, ব্ল্যাক কিং, ইয়েলো বার্ড ও তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তার প্রতিটি মাচায় শোভা পাচ্ছে নানা রঙের তরমুজ। পাইকাররা জমিতে এসে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশেপাশের অনেকেই তার তরমুজ বাগানটি দেখতে আসেন।
কৃষক বাবুল বলেন, জয়পুরহাটে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাদের বাগানে মাচায় হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ দেখতে পাই। তারপর তাদের থেকে বীজ সংগ্রহ করে রোপন করি। তরমুজ চাষে বাঁশ, সুতা ও লেবারসহ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে দুইবার তরমুজ বিক্রি করেছি। বাশঁ, মাচা ও সুতা অক্ষত থাকলে দ্বিতীয়বার চাষে ৮-১০ হাজারের বেশি খরচ হয় না। ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব।
আরেকজন তরমুজ চাষি আব্দুর রহমান বলেন, আমি চাচা বাবুল হোসেনের সফলতা দেখে তরমুজ চাষ করেছি। বাড়ির পাশে স্বল্প পরিসরে একটি বাগান করে লাভবান হয়েছি। বাজারে এই তরমুজের ভালো চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার মাটি রঙিন তরমুজ চাষের জন্য খুব উপযোগী। চাষের আগে প্রয়োজনীয় সার ও গোবর দিয়ে জমি তৈরী করে নিতে হয়। তারপর বাঁশ দিয়ে মাচা করে তরমুজ চাষ করতে হয়।প্রতি মাচায় গাছের ডালে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টি তরমুজ ধরে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে এ-জাতীয় তরমুজ চাষ স্বাস্থ্যসম্মত ও লাভজনক। প্রতিবছর এর ফলন পাওয়া যায়। ফলে কৃষকেরা খুব সহজেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন।