মহাকাশে কাঁচা মরিচের চাষ

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

নিউজ ডেস্ক: প্রথম বারের মতো কাঁচা মরিচ জন্মেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। চাষ করা সেই কাঁচা মরিচ খেয়েছেন মহাকাশচারীরা। নাসার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সাথে নাসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবিও প্রকাশ করেছে। নাসার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

কয়েক রকম শাকসবজির পর প্রথম বারের মতো মহাকাশে কাঁচা মরিচের চাষ করা হয়েছে। চলতি বছরের জুনে পৃথিবী থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচের বীজ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মহাকাশে।

মঙ্গল বা চাঁদে মহাকাশচারীদের দীর্ঘ সময়ে থাকার ফলে সেখানে কি কি জিনিস চাষ করা যাবে তা বুঝতেই মহাকাশ স্টেশনে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে নাসা।

নাসা জানিয়েছে, মহাকাশে কাঁচা মরিচের চাষ করা আসলেই বড্ড কঠিন ছিল। আর মহাকাশ স্টেশন থেকে এই কঠিন কাজের ফল বিশ্বের কাছে তুলে ধরলেন বিজ্ঞানী মার্ক টি ভ্যানডে। মরিচের হরেক জাত নিয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ সময় গবেষণা করেছেন কোনটি মহাকাশে চাষ করার জন্য উপযুক্ত।

নাসা জানিয়েছে, গত শুক্রবার মহাকাশ স্টেশনে বীজ থেকে প্রথম কাঁচা মরিচের ফলন সম্ভব হয়েছে। নাসার মহাকাশচারী মেগান ম্যাকআর্থার টুইট করে জানিয়েছেন, মহাকাশ স্টেশনে যে কাঁচা মরিচ হয়েছে তারা সেগুলো ফাজিতা বিফের সঙ্গে খেয়েছেন।

চলতি বছরের জুলাইয়ে নাসা জানিয়েছিল, পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া বীজ থেকে মহাকাশ স্টেশনে চার মাসের মধ্যেই কাঁচা মরিচ চাষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এরপরেই, ‘প্ল্যান্ট হ্যাবিটাট-০৪’ মিশনে এই প্রথম মহাকাশে বীজ থেকে সরাসরি কাঁচা মরিচের গাছ জন্মানোর কথা জানানো হয়। সেই সময়ে নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, এই গাছের কাঁচা মরিচ যদি খাওয়ার সম্ভব হয় তবে মহাকাশ স্টেশনের নভোচারীরা তা খেয়ে দেখবেন।

এরপর খাদ্যগুণ যথার্থ মানের পরীক্ষা করতে সেখানে চাষ করা বাকি কাঁচা মরিচগুলো পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। মহাকাশে চাষ করা বিভিন্ন ফল বা সবজি খাওয়ার ফলে নভোচারীদের ওপর কি কি প্রভাব পড়তে পারে বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *