বিপাকে ক্রেতারা, মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা!

খাবার breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- রাজধানীর খুচরা বাজারে সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা পাইকারদের কাছ থেকে আস্ত ডাল কিনছেন ৮১ টাকায়। ভাঙানোর খরচসহ প্রতিকেজি ডালের দাম দাঁড়ায় ৯৪ টাকা। কিন্তু বাজারে তারা ৩০-৪৫ টাকা বেশি বিক্রি করছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা সরু দানার মসুরের ডাল বিক্রি করছেন ১৩৫-১৪০ টাকা। বড় দোকান গুলোতে দাম আরও বেশি। সেখানে ডাল প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে।

শান্তিনগর বাজারে ডাল কিনতে আসা ক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, আগে ১ কেজি মসুরের ডাল ১১০ টাকায় কিনতাম। সেখান থেকে বেড়ে হয়েছিল ১২০ টাকা। তারপর বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে এই দোহাই দিয়ে এক লাফে দাম বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করেছে। এখন বিশ্ববাজারে দাম কমলেও, তারা দাম কমাচ্ছেন না। সেই ১৪০ টাকায়ই বিক্রি করছেন।

মসুর ডাল মূলত অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি হয়ে থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। আগে টনপ্রতি ডাল ৯২০ ডলারে আমদানি হতো, এখন সেটি কমে ৭৮০ ডলারে আমদানি হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে ডালের দাম কমলেও দেশের খুচরা বাজারে এর প্রভাব এখনো পড়েনি। এখনো বেশি দাম দিয়ে ডাল কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগে।

ক্রেতারা বলছেন, যদি বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়তে সময় লাগে, তাহলে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার সময়ও একই অবস্থা হওয়া উচিত। কিন্তু দেখতে হয় বিপরীত চিত্র। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে রাতারাতি দেশীয় দাম বাজারে বেড়ে যায়। আসলে এসব দেখার কেউ নেই বলে ক্রেতারা আক্ষেপ করেন।

এদিকে পুরান ঢাকার চকবাজার, কাপ্তানবাজার ও মৌলভিবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার যাচ্ছে তাই অবমূল্যায়নের ফলে বেড়ে গেছে আমদানি খরচ। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ১১৪ টাকা, এমনটা আগে কখনো ঘটেনি।

এছাড়া যুদ্ধের কারণে বেড়ে গেছে জাহাজভাড়া। পণ্যবাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরে মার্চ-এপ্রিল মাসে দাম আকাশচুম্বী থাকলেও বর্তমানে জুন-জুলাই মাসে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *