ফসলের পাশাপাশি নতুনভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন

কৃষি ও প্রকৃতি

নিউজ ডেষ্ক- fসুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই আমাদের গ্রাম-বাংলা। এ বাংলার মাটিতে মিশে রয়েছে কৃষকদের জীবন। ফলানো হচ্ছে নানা ধরণের ফসল। পূরণ হচ্ছে মৌলিক চাহিদা। এসব কৃষকের মধ্যে নুরুল হক-ও একজন। তিনি বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি নতুনভাবে চাষ করেছেন ড্রাগন। ইতোমধ্যে তার সবুজ মাঠে উঁকি দিচ্ছে হরেক রঙের এই ফল। এ থেকে দিনবদলের স্বপ্ন বুনছেন তিনি।

সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আরাজী জামালপুর মৌজায় দেখা যায় ড্রাগন ফুল-ফলের সমাহার। এই ক্ষেত পরিচর্যা করাসহ ফল সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন কৃষক নুরুল হক।

জানা যায়, ওই উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ ম-লের ছেলে নুরুল হক ম-ল। কৃষি পরিবারই তার জন্ম। তাই কৃষি কাজই নেশা ও পেশা। যুগযুগ ধরে নানা ফসল উৎপাদনে সাংসারিক চাহিতা পুরণ করে চলছেন। এরই মধ্যে অধিক লাভের আশায় দেড় বছর আগে আবাদ করেছে বিদেশী জাতের ড্রাগন। ময়মনসিংহের মধুপুর এলাকা থেকে এই চারাগুলো সংগ্রহ করা হয়। তার নিজস্ব ২৬ শতক জমিতে ৩ হাজার ড্রাগন চারা রোপন করেছেন তিনি। ফলনও হয়েছে বাম্পার। বাজারে চাহিদা ও দাম রয়েছে ভালো। এর ফলে অনায়াসে লাভবান হবেন এই কৃষক নুরুল হক। এখন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি না হলে পাল্টে যাবে এই কৃষকের জীবন।

কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর জমিতে ড্রাগন চাষাবাদ উপযোগি। মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত ড্রাগন ফলের কাটিং করে চারা রোপন করতে হয়। এ সময় থেকে এক-দেড় বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু করে। এই আবাদে সেচ-সার-কীটনাশক প্রয়োগ করাসহ পরিচর্যা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

কৃষক নুরুল হক ম-ল জানান, প্রাথমিকভাবে ২৬ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ফল সংগ্রহ ও বিক্রি শুরু করা হচ্ছে। প্রথম দফায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি হলেও এ মৌসুমে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ড্রাগন বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে টানা ১৫ বছর ফল সংগ্রহ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, এই চাষাবাদ বেশ লাভজনক। আগামী বছরে আরও এক বিঘা জমিতে নতুন করে চারা রোপন করা হবে। সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহীনুল ইসলাম ম-ল জলেন, ড্রাগন ফল-এ অত্যান্ত পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে ভিটামিন সি মিনারেলসহ অন্যান্য গুণ পাওয়া যায়।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ড্রাগন চাষ অত্যান্ত লাভজনক। পরিকল্পিতভাবে যে কেউ আবাদ করলে অনায়াসে লাভবান হবেন। সেই সঙ্গে কৃষক নুরুল হক ম-লকে লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *