পেঁপে বাগান করে সফলতা, বছরে ১০ লাখ টাকা আয়ের আশা!

breaking subled উদ্দোক্তা ও সাফল্যের গল্প

নিউজ ডেষ্ক- দিনাজপুর ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার নিতাইশা মোড়ে পেঁপে বাগান করে সফলতা পেয়েছেন বদরুল আলম বুলু ও নাজিমুদ্দিন। লালমাটির ঘন জঙ্গল কেটে সাফ করে সেখানে পেঁপে চাষ করে তারা সফল হয়েছেন। তাদের সারিবদ্ধভাবে লাগানো পেঁপে বাগানটি দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সকলের নজর কাড়ছে।

জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে ছোট পরিসরে নিজের বাড়িতে রেডলেডি জাতের পেঁপে চাষ করে সফল হয়েছিলেন বুলু। সেই অনুপ্রেরণায় নাজিমুদ্দিনকে সাথে নিয়ে পেঁপে চাষ শুরু করেন। আগে লালমাটির এই ঘন জঙ্গলে সন্ধ্যা নামলেই ঘটতো ডাকাতি। সেই জঙ্গল এখন দৃষ্টিনন্দন পেঁপে বাগানে রূপ নিয়েছে। সারিবদ্ধভাবে লাগানো গাছে ঝুলে আছে সবুজ পেঁপে।

সরেজমিন দেখা যায়, তাদের বাগানে প্রায় সাড়ে ৭’শত পেঁপে গাছ রয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির পেঁপে ঝুলছে তাদের পেঁপে গাছে। তাদের উৎপাদিত পেঁপে ঘোড়াঘাটসহ তার আশেপাশের উপজেলাগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বদরুল আলম বুলু বলেন, আমি কৃষিতে ডিপ্লোমা শেষ করে কৃষি কাজে যোগ দেই। বগুড়া থেকে ২৫ টাকা দরে হাইব্রিড টপলেডি জাতের ৮০০ চারা কিনে নিয়ে আসি। তর মধ্যে বিভিন্ন কারনে ৩০-৩৫টি চারা নষ্ট হয়ে যায়। জমি লিজ নিয়ে আমরা পেঁপের চাষ শুরু করি।

তিনি আরো বলেন, বাগানটি করতে আমাদের প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ২ বছরে এই বাগান থেকে প্রায় ৮০ টন পেঁপে সংগ্রহ করতে পারবো। প্রাথমিকভাবে ফল ও সবজির দোকানগুলোতে ১৪০০-১৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি। তাতে বছরে আমাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছি।

বুলু আরও বলেন, প্রতিদিন অনেকেই আমাদের বাগান দেখতে আসছেন। আবার অনেকে পেঁপে চাষের পরামর্শও নিচ্ছেন। আমরাও তাদের পেঁপে চাষের সহজ পরামর্শ দিচ্ছি।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইখলাছ হোসেন সরকার বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলার মাটি পেঁপে চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এই উপজেলায় প্রায় ২ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষ হচ্ছে। আমরা চাষিদের সবধরনের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করছি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *