পুলিশ ভাইয়েরা সাবধান, র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা হয়ে গেছে: রুমিন ফারহানা

breaking subled রাজনীতি

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করে ছাত্রদল নেতা নয়নকে হ’ত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের হ’ত্যাকাণ্ডে ইতিপূর্বে র‌্যাবের ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) হয়েছে। সুতরাং পুলিশ ভাইয়েরা সাবধান হয়ে যান। শুধু লিফলেট বিতরণের কারণে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছেন। নয়ন হত্যাকাণ্ডের বিচার বাঞ্ছারামপুরের মাটিতে হতেই হবে।

তিনি বলেন, আমার দেশে আমার ভাইয়ের বুকে আপনারা গুলি চালাবেন, আমার ভাইয়ের রক্তে বাংলার মাটি ভিজবে, আপনাদেরকে এর জবাব একটা একটা করে দিতে হবে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরের উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামে নিহত নয়নের বাড়িতে তার, মা, স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পর এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আমরা তো গণমাধ্যমে কাজ করি, সাধারণ মানুষের মন্তব্য আমরা পড়ি। তারা এখন পুলিশের বিরুদ্ধে স্যাংশন চায়। পুলিশের যেসব সদস্যরা অতি উৎসাহী, তারা মনে করে হাসিনা থাকলেই টিকতে পারবে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে লুটপাট অব্যাহত রাখতে পারবে। তারা সেই কারণে অতি ভীত।

রুমিন বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ আওয়ামী লীগের দুঃশাসন মানুষ কিন্তু ভুলে নাই। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক চক্রান্তে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেছেন। তারপর থেকে বিনা ভোটে লির্লজ্জতার মতো ক্ষমতায় বসে আছেন। আপনারা মনে করেছেন এর জবাব দিতে হবে না। সব কিছুুর হিসাব আমরা নিব। কেন আমার হাজার হাজার ভাইকে গত ১৪ বছরে বিনা দোষে হত্যা করা হয়েছে। কেন আমার ভাইদের গুম করা হয়েছে। আপনারা যেভাবে ২০১৪ ও ১৮ তে বিনাভোটে লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসছেন। মনে কইরেন না, ২০২৪ সালে সেই ওয়াকওভার পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের সমুচিত জবাব দেবে।

এসময় নেতাকর্মীদের গণতন্ত্রের আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গোয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সঠিকভাবে গণতন্ত্রের যুদ্ধ করতে পারলে এ ধরণের পুলিশ খালে, বিলে ও নদীতে ভেসে যাবে। তিনি বলেন, নয়নের রক্ত বৃথা যাবে না। জনগণের আদালতেই নয়ন হত্যার বিচার হবে।

প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, সাবেক এমপি এম. এ. খালেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইদ মাহমুদ জুয়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় মাহমুদ প্রমুখ। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে নিহত নয়নের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *