দেশজুড়ে কাঞ্চননগরের পেয়ারা জনপ্রিয়তার শীর্ষে!

বাংলাদেশ breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কাঞ্চননগরে কীটনাশকমুক্ত ও সুস্বাদু পেয়ারার ব্যাপক ফলন হয়েছে। কাঞ্চননগরের পাহাড়ে এ সুস্বাদু পেয়ারার চাষ করা হয়। খেতে সুমিষ্ট হওয়ায় দেশব্যাপি এর সুনাম রয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি পেয়ারা চাষে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে হাজারো মানুষের।

চাষিরা কাঁধে ভাঁড় নিয়ে ছুটছেন বাজারের দিকে। ভাঁড়ের দুই পাশে ২ পুঁটলিতে লাল কাপড়ে মোড়ানো রয়েছে সুস্বাদু পাহাড়ি পেয়ারা। ভোরের আলো ফোটার আগেই দল বেঁধে বাগান থেকে এসব পেয়ারা সংগ্রহ করেন চাষিরা। সংগ্রহীত পেয়ারা পুঁটলিতে করে বাজারের দিকে রওনা দেন।

কাঞ্চননগরের পাহাড় পেয়ারার গ্রাম নামে খ্যাত। বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে নানা আকার আর রঙের পেয়ারা। চাষিরা আনন্দের সাথে বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করেন।

তারপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া ও চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, রওশনহাট ও বাগিচাহাটসহ ১৬টি হাটে তোলা হয় পাহাড়ি এ ফল। সবুজ ও হলুদ ৬ জাতের পেয়ারা বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়। ক্রেতারা এসে দামদর করে পেয়ারা কিনে নিয়ে যান। যা বদলে দিচ্ছে হাজারো কৃষকের জীবন-যাত্রার মান।

পাহাড়ি এ পেয়ারা দেখতে সুন্দর, খেতেও খুব মিষ্টি আর ভিটামিন ‘সি’ সহ নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। পাহাড়ে প্রচুর বৃষ্টির কারণে গোড়ায় পলি জমে। তাই রাসায়নিক কিংবা কীটনাশক ছিটাতে হয় না।

চাষিদের মতে, এখানকার পেয়ারা দেশের অন্য যে কোনো অঞ্চলের পেয়ারার তুলনায় অনেক ভালো। এ জাতের পেয়ারা পাহাড় ছাড়া অন্য কোথাও হয় না। পেয়ারা এজেলাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, পটিয়া আর চন্দনাইশে প্রতিবছর ১০ হাজার মেট্রিক টন পেয়ার উৎপাদন হয়। চন্দনাইশ পটিয়ার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের নানা পাহাড়ের ৯০০ হেক্টর জমিতে ৫ হাজারের বেশি ছোট বড় বাগানে পেয়ারা চাষ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানান, এ পেয়ারা প্রক্রিয়াজাত করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। উৎপাদান বাড়াতেও সহায়তা করা হচ্ছে। কৃষকরা যাতে পেয়ারা রপ্তানি করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *