দরকার হলে বার বার ভোট বন্ধ করবেন: সাবেক সিইসি

বাংলাদেশ breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ভোট দিতে পারছে না। কারচুপি হচ্ছে। তারা গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা বলেছি দরকার হলে বারে বারে বন্ধ করবেন। জাতিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। বুধবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত মতবিনিময় শেষে সাংবাদদিকদের কাছে এমন মতামত জানান।

সাবেক এই সিইসি বলেন, যখন ভোটাররা ভোট দিতে পারে না। একজনের ভোট আরেকজন দেয় তখন নির্বাচন কমিশন সবে থাকবে কেন? স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের এই অধিকার আছে। তাদের চোখের সামনে ধরা পড়ছে। ভোট দিতে পারছে না। কারচুপি হচ্ছে। তারা গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা বলেছি দরকার হলে বারে বারে বন্ধ করবেন। জাতিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।

মাগুরার নির্বাচনে এ ধরনের ঘটনায় কেন ব্যবস্থা নিতে পারেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। পেছনেরটা টেনে এনে জাতিকে আর অন্ধকারের মধ্যে ফেলবেন না। ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, কমিশন চেষ্টা করতে থাকুক। মানুষ যদি শিক্ষিত হয় তাহলে হবে। এদিকে অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দেন সাবেক সিইসিরা।

সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংববিধানিক বডি। সংবিধান ও আইন মোতাবেক তারা কাজ করে যাবে- আমরা এই পরামর্শ দিয়েছি। ইভিএম নিয়ে আরো প্রচার প্রচারণা করতে হবে। এটা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। উনারা বলেছেন নতুন ইভিএমটি খুবই উন্নতমানের। অলমোস্ট ডিজিটাল। কিন্তু এটা তো লোকজনকে জানতে হবে। এটা নিয়ে ইতিবাচক প্রচারণার দরকার আছে।

সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের সময় যেভাবে রিপোর্ট আসতো। সেইভাবে ব্যবস্থা নেয়া হতো। রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এই কমিশন সিসিটিভিতে পর্যবেক্ষণ করেছে। তার আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গাইবান্ধা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেটা নিয়েছে ঠিকই নিয়েছে। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার এই ক্ষমতা আছে। তারা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে নতুনভাবে আর তথ্যউপাত্ত যোগাড় করার দরকার নেই।

ইভিএম নিয়ে আরো বলেন, ইভিএম যেসব জায়গায় ইভিএম হয়েছে সেখানে ৬০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা কোন প্রশ্ন তোলেননি। প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা কোন আপত্তি করেননি। বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীরাও কোন আপত্তি করেননি। যেখানে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে সেখানকার ভোটাররা জানেন এটা কী? যারা ব্যবহার করেননি তাদের পক্ষে ইভিএম বুঝাটা একটু কঠিন। আমি বলেছি যতদূর পারা যায় আগামী জাতীয় সংসদে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত।

গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচনে অনিয়ম চিহ্নিত করে সুপারিশ দিতে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের বক্তব্য নেবে।মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার (১৮-২০ অক্টোবর) পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।সবার (৬৮৫ জন) শুনানি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে।ইসির অতিরিক্ত অশোক কুমার দেবনাথকে সভাপতি করে ইসির যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও শাহেদুন্নবী চৌধুরীকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *