টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৫টি অদ্ভূত সত্য, যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার

খেলা led

নিউজ ডেষ্ক-শর্টার ভার্সন ক্রিকেটের এক মেগা ইভেন্টের নাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২১ শতকের শুরুতেই আবির্ভূত হওয়া এই নতুন ফরম্যাটে ২০০৭ এ অনুষ্ঠিত হয় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আসরের পরিধি। সেইসাথে জন্ম নিয়েছে নানা বিরল ইতিহাস, যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার!

এ পর্যন্ত মাঠে গড়ানো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭টি আসরের ৫টি অদ্ভূত সত্য নিয়ে সাজানো আজকের প্রতিবেদনটি চলুন দেখে আসা যাক…

১. স্বাগতিক হলে মানে, শিরোপা হারালে বনে!

এখনও পর্যন্ত ৭টি ভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে টি-টোয়েন্টির ৭টি বিশ্ব আসর। তবে অবাক করা সত্য হলো এর কোনোটিতেই ট্রফি ছুয়ে দেখতে পারেনি আয়োজক দেশ। প্রথম তিন আসরে ফাইনালেই পোঁছাতে পারেনি কোনো স্বাগতিকরা। ২০১২ তে ফাইনালে পৌঁছালেও উইন্ডিজের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার। এরপর ২০১৪ ও ২০১৬ সালে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শিরোপা নির্ধারনী মহারণেই ছিলনা হোস্টরা।

২. যা হয়েছিল ১২ বলে, তা হয়নি ১৫ বছরে!

ক্রিকেটের নিত্যনতুন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মহড়ায় একমাত্র ব্যতিক্রম দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডটি। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ ওভারে টানা ৬টি ছক্কা হাকিয়ে ১২ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার রেকর্ড করেন ভারতের যুবরাজ সিং। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিগত ১৫ বছরেও যুবরাজের করা এই দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডটি ভাঙতে পারেনি কেউই!

৩. ফাইনালে ফিল্ডিং নিলে, জয়ের ভাগ্য যায় খুলে!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরেকটি রহস্যময় সত্য হলো এখনও পর্যন্ত ৭টি আসরের ৫টিতেই ফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেওয়া সব দলের হাতেই উঠেছে শিরোপা। এর মধ্যে ২০১০ এ ফাইনালের মহারণে টস জিতে প্রথম ট্রফির দেখা পায় ইংল্যান্ড। এরপর গত তিন আসর ধরে টার্গেট চেস করেই শিরোপা জিতেছে চ্যাম্পিয়ানরা। এবারও টস জিতে নিশ্চয়ই আগে ফিল্ডিং-ই নিতে চাইবে ফাইনালিস্টরা।

৪. বিশ্বকাপের শেষ বলের খেলা, কভু কি মিলিবে দেখা?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ বল কিংবা সুপার ওভার পর্যন্ত গড়ানো অনেক ম্যাচেরই সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া। তবে এখনও পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৭টি আসরের কোনটিতেই শেষ বল পর্যন্ত গড়ায়নি ফাইনাল ম্যাচ। শেষ বল পর্যন্ত গড়ানোর আগেই নির্ধারণ হয়ে সবকটি ফাইনালের শিরোপা ভাগ্য। এর মধ্যে প্রথম আসরের ভারত-পাকিস্তান ও ২০১৬ আসরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ডের ম্যাচটি সর্বোচ্চ ১৯.৪ ওভারে মীমাংসিত হয়।

৫. বোল-আউটে জিতেছিল ভারত, আর কেউ জেতেনি!

২০০৭ এ অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টির প্রথম বিশ্বআসরে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের দেওয়া ১৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রানেই আটকে যায় পাকিস্তান। এরপর আইসিসির বোল-আউট নিয়মে পাকিস্তানকে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। সেটিই ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ও শেষ বোল-আউট। এরপর আইসিসি বোল-আউট নিয়ম পরিবর্তন করে সুপার ওভারের নিয়ম চালু করায় টি-টোয়েন্টিতে বোল-আউটে আর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হতে দেখা যায়নি।

এসব অদ্ভুত সত্যের বেড়াজাল থেকে কি এবার বেরোতে পারবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নাকি জন্ম দেবে নতুন কোনো রহস্যের? আসর শেষেই নাহয় মিলিশে নেবেন সে হিসাব!

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *