জেনে নিন ডায়াবেটিক রোগীর খাবার

স্বাস্থ্য breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ ব্যায়ামের অভাব, ঘুমের ব্যাঘাত, স্ট্রেস, টেনশন ও খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম। এসবের কারণে ওজন দ্রুতহারে বাড়ে। ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে চাইলে ওজন ঠিক রাখতে হবে, ভুঁড়িও বাড়তে দেওয়া যাবে না। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়ার জরুরি ভূমিকা রয়েছে।

এর পাশাপাশি পরিমিতিবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হবে।

যা খাবেন

♦ প্রথমেই কার্বোহাইড্রেটের প্রসঙ্গে বলা যাক। রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যেমন ময়দা, চাল, পাউরুটি ইত্যাদি বাদ দিন। পরিবর্তে বেশি ফাইবারযুক্ত কার্বোহাইড্রেট যেমন ভুসিযুক্ত আটার রুটি, ঢেঁকিছাঁটা চাল বা ব্রাউন রাইস, কর্নফ্লেক্সের পরিবর্তে ব্র্যানফ্লেক্স খান।

♦ আলু খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। বাঁধাকপি, ব্রকোলি, ফুলকপি খাওয়া ভালো। রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর হাই ফাইবার কার্বোহাইড্রেট অনেকটা সময় নিয়ে হজম হয়, তাই রক্তে চিনির মাত্রা অতিরিক্ত বাড়াতে পারে না।

♦ মিষ্টি যে একেবারে বাদ দিতে হবে তা কিন্তু নয়। মাঝেমধ্যে দু-একটি মিষ্টি বা পায়েস-সেমাই একটু খাওয়া যায়। যেদিন মিষ্টি খাবেন, সেদিন একটু বেশি করে হাঁটবেন। তাহলেই আর অসুবিধা নেই।

♦ শুধু ডায়াবেটিক রোগী নয়, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্র্যান্স ফ্যাট কারো জন্যই ভালো নয়। গুঁড়া দুধ, ভেজিটেবল অয়েল, প্যাকেটজাত পণ্য, লাল মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

♦ উচ্চমাত্রার ফাইবারযুক্ত সবজি যেমন শিম, ব্রকোলি, মটরশুঁটি, বাঁধাকপি ইত্যাদি রাখুন ডায়েটে। ডালজাতীয় খাবারও রাখতে পারেন। এগুলোর প্রতিটিই ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। উচ্চ ফাইবারযুক্ত ফল যেমন পেঁপে, কমলালেবু, আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা ইত্যাদি খান।

♦ খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম আর পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকতে হবে। একবারে বেশি খাওয়া ঠিক নয়, সারা দিনেই অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া ভালো।

♦ অতিরিক্ত ওজন অনেক সময় ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে। মাত্র ৭ শতাংশ ওজন কমাতে পারলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে অর্ধেক হয়ে যায়। অনেকেই ওজন কমাতে গিয়ে সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবার বাদ দেন, যা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বরং নাশতা ঠিকমতো খাওয়া উচিত।

ব্যায়ামও করতে হবে

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাওয়াদাওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ব্যায়ামও অতি গুরুত্বপূর্ণ। ওজন যেমন ঠিক রাখতে হবে, তেমনি শরীরে গ্রহণ করা ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতেও হবে। তাই নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম অবশ্যই করবেন। তবে ব্যায়াম করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। জেনে নিন কতটা সময় ও কী ধরনের ব্যায়াম করবেন।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. শাহাজাদা সেলিম
সহযোগী অধ্যাপক
এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *