গ্রাম ছাড়ছে আতঙ্কিত মানুষ, সীমান্তে ফের মিয়ানমারের গোলাগুলি

বাংলাদেশ breaking subled

এবার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেলে এক রোহিঙ্গা নিহতের পর আজ শনিবারও ১৭ সেপ্টেম্বর বিকট গোলার শব্দ শোনা গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তার কারণে গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৩৫টি পরিবার। এদিকে, ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে তুমব্রু কোনারপাড়ার বাসিন্দা নুর হাসিনা জানান, তার বাড়িতে শুক্রবার রাতে এসে পড়ে একটি মর্টারশেল। কিন্তু সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। তবে, তার বাড়ির কিছু দূরে আরও একটি মর্টারশেল পড়ে বিস্ফোরিত হয়। এই আতঙ্কে তার পুরো পরিবার এখন আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু মাঝেরপাড়ায়।

গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি, মর্টারশেল বিস্ফোরণের পর শনিবার সকালেও কয়েকটি গোলার বিকট শব্দ হয়েছে। আর শূন্যরেখায় মর্টারশেলের বিস্ফোরণে আহতরা এখনো উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় চলাচলে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এতে আতঙ্কে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে মর্টারশেল এসে পড়ায় কোনারপাড়ার ৩৫টি পরিবার এখন অন্যত্র নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সরিয়ে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া ৪টি মর্টারশেলের বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন। এছাড়া আরও ছয়জন আহত হন বলে জানা যায়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *