খুশি কৃষকরা, রাজশাহীতে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সরিষা

কৃষি ও প্রকৃতি breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- রাজশাহীতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প খরচ ও শ্রমে অধিক ফলন বেশি হওয়ায় দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। ধান আবাদে খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। বাজারে সরিষার ভালো দাম থাকায় খুশি চাষিরা।

জানা যায়, বিগত কয়েক বছর যাবত রাজশাহীতে সরিষার আবাদ বেশ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা। তবে এই বছর বাজারে রেকর্ড দামে সরিষার দানা বিক্রি হচ্ছে।

গোদাগাড়ী উপজেলার চাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। সরিষা চাষে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবছর ২০ মণ সরিষা পেয়েছি। স্থানীয় বাজারে সরিষা বিক্রি করে ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা আয় করেছি।

পবা উপজেলার কৃষক রমজান আলী বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে খরচ কম। বীজ বোনার দুই মাসের মধ্যে সরিষার ফসল ঘরে তোলা যায়। আমি ১৪ হাজার টাকায় পাঁচ মণ সরিষা বিক্রি করেছি।

একই উপজেলার কাকনহাট এলাকার মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এবছর বাজারে সরিষার দাম ভালো। এর আগে কখনো এতো দাম পাইনি। প্রতি মণ সরিষা ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম। বর্তমানে ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।

বাঘা উপজেলার কালিগ্রাম এলাকার শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন। কাঁচা অবস্থায় ২০ মণ সরিষা বিক্রি করেছিলেন ২৩০০ টাকা টাকা দরে। পরে আরও ৫০ মণ সরিষা কিনেছেন আড়াই হাজার টাকা দরে। সেগুলো পরে ৩৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন তিনি।

সরিষা ব্যবসায়ীরা বলেন, মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ কাঁচা সরিষা ২৫০০-২৭০০ টাকায় বিক্রি করেছেন কৃষকরা। তবে বর্তমানে জেলায় শুকনা সরিষা ৩৬০০-৩৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, কাঁচা সরিষা এর আগে এমন দামে বিক্রি করতে পারেননি তারা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন। কৃষকেরা (উফশি) জাতের বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-১৮ আবাদ করে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, এ এলাকার কৃষকরা সরিষা আবাদ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বাজারমূল্য ভালো থাকলে সরিষা চাষের দিকে কৃষকরা আরও ঝুঁকবেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *