নিউজ ডেষ্ক- এবার লাল চন্দন (রক্ত চন্দন) গাছের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলে। এরপর থেকেই গাছটিকে এক নজরে দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। এই রক্তচন্দন গাছ হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজাসহ ওষধী কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মহামূল্যবান এই গাছটি রক্ষনাবেক্ষন ও বংশবিস্তারের জন্য ইতিমধ্যেই বন বিভাগ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজরিত টাঙ্গাইলের মধুপুর দোখলা বন বিশ্রামাগারে এই আলোচিত রক্ত চন্দন গাছের সন্ধান পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মধুপুর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, এই গাছেরা ফুল-ফল ও বীজ না হওয়া বংশবৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। তাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বংশবিস্তারের ব্যবস্থা নেয়া হবে তিনি জানিয়েছেন। তবে কে বা কারা এই গাছটি রোপন করেছিলেন এর কোন তথ্য নেই বন বিভাগের কাছে।
গাছটি দেখতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে ভীর করছেন দর্শনার্থীরা। গাছটির ফুল-ফল বা বীজ না হওয়ায় ভিন্ন উপায়ে বংশবিস্তারের দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা। বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব অবস্থান করেছিলেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর নানা কর্মকান্ডের সাক্ষীরাখা সেই বিশ্রামাগারের সামনেই রয়েছে এই রক্ত চন্দন গাছটি। এতদিন এই গাছ নিয়ে কোন আলোচনা না হলেও বর্তমানে আল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবি মুক্তির পরপরই এটি নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে পুরো জেলা জুড়ে। এর আগ পর্যন্ত অজানাই ছিলো
এ ব্যাপারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মহিউদ্দিন জানান, বিলুপ্তি এই মহামূলবান চন্দন গাছটি টিসু কালচারের মাধ্যমে বংশবিস্তারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে চান তিনি।