এক ট্রলারে মিলল সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ১১৭ মণ ইলিশ

দেশজুড়ে breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে এক ট্রলারে আসা ইলিশগুলো মেঘনা ফিশিং এজেন্সি নামের আড়তে বিক্রি করা হয় ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায়। গতকাল তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারে ১১৭ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। ভোলার দৌলতখানের জেলেদের ট্রলারে মাছগুলো ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে ইলিশগুলো নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

অন্য জেলেদের ট্রলারেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।

মা ইলিশ ধরায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা গত ২৮ অক্টোবর শেষ হওয়ার পর জেলেরা জাল নিয়ে নদী ও সাগরে ট্রলার ভাসান। জেলেরা জানান, তাঁদের জালে এবার ইলিশের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ পাঙ্গাশ মাছও ধরা পড়ছে।
১১৭ মণ ইলিশ ধরা ট্রলারটির নাম এফবি রায়হান ১। ট্রলারটির মালিক কামাল কম্পানি বলেন, ‘আমরা ২২ জন জেলে ভোলার দৌলতখান থেকে মাছ ধরতে নেমেছি ২৯ অক্টোবর ভোরে। গত পাঁচ দিনে আমরা এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি ইলিশ পেয়েছি। এত মাছ ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। দীর্ঘ ২২ দিন আমরা ডাঙায় ছিলাম। এরপর নেমে এত মাছ পাব আশা করিনি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শোকর আদায় করছি। ’

ট্রলারের সারেং সফিক মাঝি বলেন, ‘বিভিন্ন সাইজের ইলিশ পাওয়া গেছে। তবে সাগরের ইলিশ বড় বড়। ফোনে যোগাযোগ করে সব মাছ আমরা মেঘনা ফিশিংয়ের কাছে বিক্রি করেছি। এখানে ভালো দাম পেয়েছি। ’

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘এফবি রায়হান ১ বোটের মালিকের বাড়ি ভোলায়। তিনি ফোনে মাছ পাওয়ার কথা জানালে আমরা চেয়ারম্যানঘাটে আসতে বলি। ১১৭ মণ ইলিশ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা করে নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। ’

হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও হাতিয়ার হরণী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসাইন জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গভীর সমুদ্রে যাওয়া ফিশিং বোট ফিরতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তরের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। এখন নদীতে জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাচ্ছে। ইলিশের ডিম পাড়াও শেষ হয়েছে। ’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *