নিউজ ডেষ্ক- ৩ কেজি ফাতেমা ধানের বীজ থেকে চারা তৈরি করে ১৭ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিল ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের আলগীচর গ্রামের চাষি শরীফ বাবু। পরবর্তীতে সেই জমির ধান কেটে মাড়াই করে ধান পেয়েছেন প্রায় ২০ মণ। স্বল্প খরচে ধানের এমন বাম্পার ফলন পেয়ে যারপরনাই খুশি চাষি শরীফ বাবু। তার এমন সাফল্যে এলাকার অনেকেই ফাতেমা জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ফাতেমা ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শীষ সবকিছু অন্য যে কোনো জাতের ধানের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করা হয়, যা বেড়ে ৮-১২টি হয়। প্রতিটি ধান গাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। একেকটি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬-৪০ সেন্টিমিটার। প্রতি ছড়ায় দানার সংখ্যা এক হাজার থেকে ১২০০টি। যার ওজন ৩০-৩৫ গ্রাম। ধানগাছের পাতা লম্বা ৮৮ সেন্টিমিটার, ফ্লাগলিপ (ছড়ার সঙ্গের পাতা) ৪৪ সেন্টিমিটার। ধানগাছের পাতা চওড়ায় দেড় ইঞ্চি। এই জাতের গাছের কাণ্ড ও পাতা দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। তাই এই ধান ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। ফাতেমা ধান একরপ্রতি ফলন হয় প্রায় ১৩০ মণ। তাই অন্য যে কোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।
চাষি শরীফ বাবু বলেন, আড়াই হাজার টাকা দিয়ে ৫ কেজি বীজ ক্রয় করে চারা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু ২ কেজির অত ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। বাকি চারা দিয়ে জমিতে ধান করি। যা থেকে ২০ মণ ধান পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ধান ছাড়াও ভুট্টা চাষ, পাট, সরিষা, সূর্যমুখী, মুগডাল ইত্যাদি চাষ করি। চলতি বছর যেহেতু এই জাতের ধানের ভাল ফলন পেয়েছি তাই আগামী বছর বেশি পরিমাণ জমিতে চাষ ক্রব। এছাড়াও অনেকেই বীজ চেয়েছে। আমার মত অন্যান্য কৃষকরাও যেন তার মতো বেশি ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারেন সেজন্য ফাতেমা ধানের বীজ সবার কাছে বিক্রি করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।