নিউজ ডেষ্ক-অবশেষে ফজলি আমের জিআই সনদ (ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি) পেয়েছে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুই জেলাই।
মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে শুনানি শেষে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের
রেজিস্ট্রার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার। এর আগে আজ বেলা ১১টায় পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে এ ব্যাপারে শুনানি শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ১টার দিকে।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। শুনানি গ্রহণ করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার।
পরে জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ২০১৭ সালে ফজলি আমের জিআই নিয়ে একটি আবেদন হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ শুনানি হয়েছে। এই আদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। যদি কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ থাকে, তাহলে তারা আদালতে আপিল করতে পারবে।
উল্লেখ্য, কোনো একটি স্থানের মাটি, পানি, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ওই স্থানের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি অনন্য গুণমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই গুণমানসম্পন্ন সেই পণ্য ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
দেশে প্রথম জিআই সনদ পায় জামদানি। পরে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, কালিজিরা চাল, ইলিশ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়। এসব পণ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।