নিউজ ডেষ্ক-প্রতিটি গাছের লিচুতে পাক ধরেছে। কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলো বিক্রি করবেন। পরিচর্যার জন্য কুঁড়েঘর বানিয়ে বাগানেই অবস্থান করছেন মালিকরা। কিন্তু চোখের সামনে এক ঘণ্টার মধ্যে গাছগুলো শুকিয়ে মারা গেছে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা গ্রামে। অজানা কারণে মারা গেছে অর্ধশত লিচুগাছ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাগান মালিকরা।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গাছে হাজার হাজার শুকিয়ে যাওয়া লিচু ঝুলতে দেখা যায়। এদিকে গাছের পাতাগুলো শুকিয়ে নির্জীব হয়ে গেছে যাতে বোঝা যাচ্ছে গাছ মারা গেছে।
খয়েরতলা গ্রামের লিচুচাষি তানভীর আহম্মেদ জানান, তাদের ৪২টি গাছের মধ্যে ৩০টি গাছই মারা গেছে। ১৪ মে বেলা ১১টা পর্যন্ত গাছগুলো তরতাজা ছিল কিন্তু ১২টার সময় গাছের পাতা নুইয়ে পড়ে। লিচু লাল রঙ থেকে পুড়ে যাওয়ার মতো রঙ ধারণ করেছে। যে সময় এমন হয় তিনি বাগানেই ছিলেন। চোখের সামনেই ধরন্ত লিচুগাছগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে।
একই গ্রামের তাজউদ্দিনের একই দিন একই সময় ২১টি গাছের মধ্যে ১০টি গাছ মারা গেছে। গাছগুলোতো প্রচুর পরিমাণে লিচু ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আবুল হোসেনের ১৪৬টি গাছের মধ্যে ৬টি গাছ মারা গেছে। বাকি গাছ নিয়ে আতঙ্কিত তিনি। শহিদুল ইসলামের ২৭টি গাছের মধ্যে ৩টি গাছ মারা গেছে।
তবে বাগান মালিকরা জানান, তারা লিচু গাছে আগে কখনও এমন সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে মারা যাওয়া দেখেননি। এর আগেও তাদের জমিতে পানি জমি থাকতো, তখন তো এমন ঘটনা ঘটেনি।
বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার শিকদার মো: মোহায়মেন আক্তার জানান, তিনি সোমবার ক্ষতিগ্রস্থ লিচু বাগান পরিদর্শন করেছেন। পর পর কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে বাগানে পানি জমে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া গাছগুলো মারা যাওয়ার কোনো কারণ নেই।