নিউজ ডেষ্ক- জিলাপির কথা মনে আসলেই রসে ভরা গরম মুচমুচে খাবার স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশে পুরাণ ঢাকার শাহী জিলাপি ও ময়মনসিংহের চিকন জিলাপির পর রাজশাহীর কাঁচা আমের জিলাপি আলোচনায় আসে। এরপর তরমুজের জিলাপিতে মেতেছে ময়মনসিংহ।
তরমুজের গুড় তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষক মৃত্যুঞ্জয়। এবার ইফতারিতে ভিন্নতা আনতে খুলনায় তৈরি হচ্ছে তরমুজের জিলাপি। খুলনার খালিশপুরের বিআইডিসি সড়কে চিত্রালি সিনেমা হলের সামনে মিলছে তরমুজের এই জিলাপি। নতুন স্বাদের এই জিলাপি তৈরি করছেন ইসলামিয়া মিষ্টিঘর নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
তবে শুধু তরমুজের জিলাপিই নয়, প্রতিষ্ঠানটিতে কাঁচা আমের জিলাপি, রেশমি জিলাপি, শাহী জিলাপি মিলছে। বাহারি রং-স্বাদে তৈরি তরমুজ ও কাঁচা আমের জিলাপি ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাহারি রং-স্বাদে তৈরি তরমুজ ও কাঁচা আমের জিলাপি ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। ইসলামিয়া মিষ্টিঘরে মানুষের ভীড়। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের মিষ্টান্ন কিনছেন। তবে তরমুজ ও কাঁচা আমের জিলাপি বেশি কিনছেন।
প্রতিষ্ঠানটির মালিকের বড় ছেলে আবদুস সোবহান জানান, আমাদের মিষ্টির ব্যবসা অনেক পুরাতন। জিলাপির ব্যবসাও অনেক দিনের। আমরা সাধারণ জিলাপি, শাহী জিলাপি ও রেশমী জিলাপি তৈরি করতাম। এটা দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। চিন্তা করলাম নতুন কী করা যায়? নতুন একটা আইটেম করা যায় কিনা? সেই থেকে তরমুজের একটা আইটেম আমার মাথায় আসলো।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমরা এর সঙ্গে কাঁচা আমের আইটেম যোগ করি। দুইটা আইটেম বেশ সাড়া ফেলেছে। প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রতি পিস সাইজের ওপর দাম কমবেশি আছে। দোকানের কর্মচারী আবীর হোসেন বলেন, বাজার থেকে ফ্রেশ তরমুজ কিনে লাল অংশটুকু কেটে ব্লেন্ডারে মিহি করি। সাধারণ জিলাপির মিশ্রণে পানি দেওয়া হয়। তরমুজের পিওর রস দিয়ে খামির তৈরি করি। কোনো কালার ব্যবহার করা হয় না।
একইভাবে আমের খোসা ও আঁটি পৃথক কাঁচা আমের জিলাপি তৈরি হয় বলে জানালেন দোকানের জিলাপি প্রস্ততকারক আল আমিন। জিলাপি কিনতে আসা রমজান জানান, ফেসবুকে তরমুজের জিলাপি দেখে স্ত্রী নিয়ে যেতে বলল। দোকান খুঁজে বের করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কাঁচা আম, তরমুজ এবং সাধারণ জিলাপি নিচ্ছি। খালিশপুরের বাসিন্দা মো. আহাদ বলেন, তাদের ইফতার আয়োজনে ভিন্নতা থাকে। এই জিলাপি সকলের নজর কেড়েছে। প্রথম দিনই তিনি বিশেষ এই জিলাপির স্বাদ নিতে চাই।
অন্যদিকে, কাঁচা আমের জিলাপি তৈরি করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে রাজশাহীর একটি প্রতিষ্ঠান। আটার সঙ্গে ফুড গ্রেড রং ও আমের সুগন্ধি মিশিয়ে জিলাপি তৈরি করায় রসগোল্লাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।