বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও আল আকসায় রমজানের প্রথম জুমায় মুসল্লির ঢল

আন্তর্জাতিক

নিউজ ডেষ্ক- মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। জানা যায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অনেক রকম বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও ৮০ হাজার মুসল্লি রমজানের প্রথম জুমায় শরিক হন। খবর ইরনা।

খবরে বলা হয়, জেরুজালেমে অবস্থিত আল আকসা মসজিদে জনসমাগম ঠেকাতে ইসরায়েলি সেনারা ৫০ বছরের কম বয়সী ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে। বিধান করা হয়, ৪০-৫০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে সেখানে নামাজ আদায় করতে পারবে। তবে গাজাবাসী সকল মুসল্লির ক্ষেত্রেই অনুমতি গ্রহণের বিধান রাখা হয়।

চলতি বছরের রমজান মাসের প্রথম জুমা উপলক্ষে জেরুজালেমের রাস্তাগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনিদের যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রায় তিনহাজার সেনা মোতায়েন করা হয়।

ইসরায়েলি পুলিশরা আল-আকসা মসজিদ অভিমুখী রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়, যাতে সেখানে গাড়িতে করে কোনো ফিলিস্তিনি ঢুকতে না পারে। শুধুমাত্র আশপাশে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদেরই মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম তীরের অন্যান্য অংশ বা গাজা উপত্যকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা আল-আকসা মসজিদে স্বাভাবিকভাবে যাওয়ার সুযোগ পাননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত জেরুজালেমের দিকে যাওয়ার ক্রসিংগুলোতে ফিলিস্তিনিদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে এবং অনেককেই মসজিদে প্রবেশ করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়।

ফিলিস্তিনি মেয়ে আলা বলেন, তিনিসহ একদল নারী কালান্দিয়া চেকপয়েন্ট দিয়ে জেরুজালেমে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বাধা দেয়। তারা এখন একটি ভিন্ন চেকপয়েন্ট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন।

উত্তর পশ্চিম তীরের নাবলুসের দক্ষিণে হুওয়ারা থেকে একজন ফিলিস্তিনি মারওয়ান আওদা বলেছেন, তিনি তিনবার কালান্দিয়া চেকপয়েন্ট অতিক্রম করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে প্রতিবারই ইসরায়েলি বাহিনী তাকে ঢুকতে বাধা দেয়।

তারা জানান, গত মঙ্গলবার থেকেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের জন্য পশ্চিম তীর থেকে আসা ফিলিস্তিনিদের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নতুন নিয়মে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং নারীরা জেরুজালেমে প্রবেশের অনুমতি পাবে। ৫০ বছরের কম বয়সী ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। আর এসব ব্যবস্থা গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ গাজা ছেড়ে যেতেই তাদের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। তবে ইসরায়েলিদের এত বাধা নিষেধ সত্ত্বেও রমজানের প্রথম জুমায় সেখানে ৮০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *