গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে— জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।
আর এ দেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম আওয়ামী লীগ, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারও কাছে ধরনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের জবাবে এ বিবৃতি দেন কাদের।
আজ শুক্রবার ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপসহীন মনোভাব পোষণ করায় শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশি জীবন যাপন করছে। এমনকি কোনো কোনো দেশের (ভারত) সরকার পরিবর্তনের সাথে সঙ্গেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই তাদের নেতারা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়।
বিদেশে আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই— বিদেশে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার কোনো প্রভু নেই। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়— বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত এই পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যে কোনো উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে।