চিত্রনায়ক হিসেবে খুব পরিচিত না হলেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন জায়েদ খান। পরপর দুইবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবে, তৃতীয়বার জিতেও এখনো চূড়ান্তভাবে চেয়ারে বসতে পারেননি আইনি জটিলতায়।
গত দুই মাস ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচন ও সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরে খবরের শিরোনামে ছিলেন জায়েদ খান। বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করে কখনো আলোচনা, কখনো সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। তেমনই একটি মন্তব্য সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে এমপি তথা সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন জায়েদ খান।
ভিডিওতে দেখা গেছে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে জায়েদ খান বলছেন, ‘আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। আমাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত করেছে সরকার। রাজনীতি করতে খুব পছন্দ করি। শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করার ফলে অভিজ্ঞতা সঞ্চার হয়েছে। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। যদি আমার দলের নেত্রী কিংবা নীতিনির্ধারকরা ভবিষ্যতে দেশের কোথাও আমাকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের সুযোগ দেন, তাহলে আমি কাজ করতে চাই।’
পারিবারিকভাবেই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত থাকার কথা বলে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি উড়ে এসে জুড়ে বসা লোক না। অনুপ্রবেশকারীও নই। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে পারিবারিকভাবেই জড়িত। নজরুল ইসলাম বাবু ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। রোটন ভাইয়ের সাথে মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিয়েছি। আমাকে বাবু ভাই এক দিন সিনেমায় ট্রাই করার কথা বলেছিলেন। তার কথায় আমি সিনেমায় এসেছি। নায়ক হয়েছি।’
অবৈধভাবে রাজনীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়ার কোনো ইচ্ছে নেই জায়েদ খানের। তিনি বলেন, “পকেট ভারি করার জন্য আমি রাজনীতি করতে চাই না। অসদুপায়ে টাকা আয়ের ইচ্ছা নেই। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করি। ‘সাপোর্ট’ নামে একটি সংগঠন আছে আমার। এই সংগঠন থেকে অনেক অসহায় মানুষকে সহায়তা করেছি। অসচ্ছল মানুষকে দোকান করে দিয়েছি। গরীবের কান্না আমাকে খুব স্পর্শ করে। সহ্য করতে পারি না।”
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ নামের একটি সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন জায়েদ খান। এরপর প্রায় দেড় ডজন সিনেমায় কাজ করেছেন। যদিও নায়ক হিসেবে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৯ সালের ‘প্রতিশোধের আগুন’ শীর্ষক সিনেমায়।