নারায়ণগঞ্জ বন্দরে গণধর্ষণ মামলার এক আসামিকে বাদী পরিবার পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৩ মার্চ বুধবার সকালে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত বাস চালক মো. রকি (২০) বন্দরের চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে। নিহতের ঘটনায় আটক ধর্ষিতার দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় বিচারের দাবিতে দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে মো. রকি ও তার চাচাতো ভাই শুকুর আলীর ছেলে আলমগীর দুই জনের মিলে শুক্রবার রাতে একই এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিককে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনায় রকি ও আলমগীরকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে ধর্ষিতা গার্মেন্টকর্মী।
দুইজন পালিয়ে গেলে তাদের অবস্থান খবর পেয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন ২২ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে দুই আসামিকে ধরে এনে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ রকিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত হয় তার।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশ লাশ রেখে গেছে হাসপাতালে। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হত্যার বিচারের দাবীতে দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ঘটনাস্থালে ছুটে এসে রকি হত্যাকারিদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেয়। ওসি জানান, গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি রকি ও আলমগীরকে বাদীর পরিবারের লোকজন পিটুনি পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় আসামি রকিকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার দুই ভাই মো. শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।