রাশিয়ার সামরিক বাহিনী নজিরবিহীন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অনেক ইউনিট ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয়রা প্রমাণ করেছে যে, তারা এমন একটি সেনাবাহিনীর চেয়েও পেশাদারিত্বের সঙ্গে লড়াইয়ের সক্ষমতা রাখে। যারা বিভিন্ন অঞ্চল এবং পরিস্থিতিতে দশক ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। আমরা তাদের বিপুল সংখ্যক সেনা ও সামরিক সরঞ্জামের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে লড়াই করছি।
এরপরই তিনি ইউক্রেনীয় থেকে রুশ ভাষায় বলেন, যে সব অঞ্চলে প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে সেখানে অনেক রুশ সেনাদের মৃতদেহ পড়ে আছে। এসব মরদেহ কেউ তুলে নিচ্ছে না। এর মধ্যেও নতুন ইউনিট পাঠানো হচ্ছে।
তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির মুখে, জেলেনস্কির এমন দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই বিশাল রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত।
রবিবার জেলেনস্কি বলেন, ‘শনিবার আটটি করিডোর দিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার কাজ চলছিল। কিন্তু রুশ বাহিনীর অবিরাম গোলাবর্ষণের কারণে কিয়েভ অঞ্চলের বোরোদিয়ানায় অভিযান ব্যাহত হয়। ইউক্রেনের অবরুদ্ধ খেরসনের শহরগুলোতে মানবিক সহায়তা পাঠাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ’। প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, রুশ বাহিনী আমাদের বহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে, কিন্তু কেন?
যুদ্ধে এ পর্যন্ত রাশিয়ার ১৪ হাজার সেনা নিহত হয়েছে, এমন দাবি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সম্প্রতি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানায়, ৪৪৪টি ট্যাংক, এক হাজার ৪৩৫টি সামরিক যান, ৮৬টি বিমান, ১০৮টি হেলিকপ্টার, ১১টি ড্রোন, ৩টি জাহাজ ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বাহিনী। এই পরিসংখ্যান আনুমানিক এবং উচ্চমাত্রার লড়াইয়ের কারণে যাচাইকরণ ছিল ‘জটিল’।
সূত্র: সিএনএন