নিউজ ডেষ্ক- সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠীত হবে জাতীয় নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনকেন্দ্রিক জরিপ, প্রার্থী যাচাই-বাছাই, সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার সব ধরনের নির্দেশনাই ঠিক করা হবে ২০২২ সালে। ইতিমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলটির প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাছাইয়ের কাজও শুরু করেছেন।
দলের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য দিয়ে জানায়, আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় রেখে বছরের শুরু থেকে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। অঙ্গসংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব যোগ করা হবে। এমনকি জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্য পদ পূরণের চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে। অনেকদিন পর ঢাকার বাইরে বেশ কিছু সমাবেশেরও আয়োজন করেছে বিএনপি। তাতে লোকসমাগম দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে নেতারা।
বিএনপির নেতারা মনে করেন, র্যাব ও এর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি নির্বাচনের আগে এই চাপ আরো বাড়বে। আর এ চাপ অব্যাহত থাকলে দেশে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি হতে পারে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে একই ধারণা তৈরি হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কিংবা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মতো একপক্ষীয় নির্বাচন দেশে আর অনুষ্ঠীত হবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর যে চাপ তৈরি করেছে, তা অন্যান্য প্রভাবশালী দেশের ওপরও প্রভাব ফেলবে। ফলে অন্যান্য দেশও আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্যে চাপ দেবে।
নতুন বছর নিয়ে দলের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। আর এ জন্য নির্বাচনব্যবস্থা পাল্টাতে হবে। জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। আর এ লক্ষ্যে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দল পুনর্গঠনের কাজও চলতে থাকবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “নির্বাচনে আমরা যাব কী যাব না, তা রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে। নির্দলীয় সরকার হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি রাখতে হয়। যেহেতু ২০২২ সাল নির্বাচনের আগের বছর, তাই বেশির ভাগ প্রস্তুতি এ বছরই নিতে হবে। সবই রাজপথ দখলে রেখে করা হবে।’