নিউজ ডেষ্ক- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের জন্য প্রায় সময় হয়রানির শিকার হন সাধারণ গ্রাহকরা। যার ফলে অনেককেরই আবার গুনতে হচ্ছে জরিমানাও। ভুতুড়ে বিল আসা একজন গ্রাহক হচ্ছেন উপজেলার উত্তর ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মোঃ জব্বার হাওলাদার। তার আবাসিক মিটারে নভেম্বর মাসের বিল ছিলো ১২৩ টাকা, কিন্তু ডিসেম্বর মাসে বিল আসে ১৪ হাজার ৩ শত ২২ টাকায়। যেখানে একই গ্রামের আরেক গ্রাহকের নভেম্বরে বিল এসেছে ২ শত এবং ডিসেম্বর ৮ শত টাকা।
এদিকে গ্রাহকরা বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে জরুরি কাজ ফেলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ করছেন। এর মধ্যে কারও কারও বিল শুধরে দেয়া হয়, আবার কারও কারও বিল জমা দেয়ার নির্দিষ্ট তারিখ শেষ হয়ে হওয়ার পর গুনতে হয় জরিমানা।
১৪ হাজার ৩ শত ২২ টাকা বিল আসা ভুক্তভোগী গ্রাহক জব্বার হাওলাদার বলেন, “ডিসেম্বর মাসের বিল দেখে আমি রীতিমতো হতবাক হয়েছি। এ ধরনের ভুল তারা কীভাবে করে? পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে মিটার রিডার ও বিল বণ্টনকারী বিল ঠিক করে দিয়ে যান।
আর এমন ভুলের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি এভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন আরো একাধিক গ্রাহক। ফলে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন ভুক্তোভুগীরা।
এ বিষয়ে বিল প্রস্তুতকারী মোসাঃ শারমীন সুলতানা বলেন, “ভুলে অন্যজনের কারেন্ট বিল তার বিল কাগজে উঠে গেছে। মির্জাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. আব্দুর রহিম বলেন, যে কোনো সমস্যা আমাদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে তার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”