হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসপি, ওসিসহ ৫৪ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার ) দুপরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম। বিচারক শুনানী শেষে এ মামলার আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়ে দেন।
মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি চলতি মাসের ২২ তারিখ এক বিশাল সমাবেশের আহ্বান করে। সমাবেশটি করতে হবিগঞ্জ পৌরসভার মাঠে ও চিলড্রেন পার্ক ব্যবহার করার জন্য প্রশাসনের অনুমতির জন্যে যাওয়া হয়, কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। এরই মধ্যে জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি সর্বমহলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বিএনপি। যথারীতি বিষয়টি লিখিতভাবে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও পুলিশ পার্টি অফিসের সামনে একটি ছোট মঞ্চ তৈরির কাজে বাঁধা দেয় এবং গলির পূর্ব, পশ্চিম মুখে নেতাকর্মীদের বাঁধা দিতে বেরিকেড দিতে শুরু করে।
বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অর্থাৎ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি ও চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভাস্থলে আসেন এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে সভাস্থলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী একত্রিত হন। কিন্তু পুলিশ হবিগঞ্জ শহরের সকল প্রবেশ মুখে চেক পোস্ট বসিয়ে সভাস্থলে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দেয় এবং তাদের হয়রানি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, সদর থানার ওসি মাসুক আলী, ডিবি’র ওসি আল আমিন এবং ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদের নির্দেশ অনুসারে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক পুলিশ সমাবেশ স্থলের সামনে ছাত্রদলের মিছিলে অতক্রিতভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে। আর এসময় পুলিশের গুলিতে বহু নেতাকর্মী আহত হয়।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ নেতাকর্মীদের কেন্দ্র করে প্রায় ১২০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এতে সমাবেশে আসা আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এর সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি জানান, “অফিসিয়াল কাজে তিনি আপাতত সিলেটে রয়েছেন তবে মামলার বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছেন। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেউ যদি মামলা করে তাহলে বিষয়টি আদালত দেখবে