নিউজ ডেষ্ক- ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক একটি লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আগুনে দগ্ধ হয়েছে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ। এছাড়া বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় রয়েছেন ৭০ জন। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
তবে ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন ভুইয়া জানান, এ পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে শতাধিক জন যাত্রী।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, “লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে শতাধিক জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান ওই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা। ”
শুক্রবার ভোর ৪টায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার লঞ্চ টার্মিনালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে আকাশ-বাতাস।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার সময় লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানান। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী সেখানে নামতে পেরেছেন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, “অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বেঁচে গেছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক। লঞ্চটিতে সকল বয়সের প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানায় যাত্রীরা।”
লঞ্চের এক যাত্রী জানান, “তিনি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিলেন। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্চিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে জুড়ে। রাত তিনটা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে।”
https://www.facebook.com/watch/?v=448857876841624