নিউজ ডেষ্ক- ঝালকাঠিতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ রোগীদের চাপ সামলাতে রীতিমেতা হিমশিম খাচ্ছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-সেবিকারা। একের পর এক দগ্ধ রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মাত্র একজন চিকিৎসক ছিলেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল নগরীর কালীবাড়ি রোডে বেসরকারি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর এক বছর আট ১ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসকহীনতায় হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসার দেওয়ার জন্যে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হচ্ছে। ভোররাত থেকে এ পর্যন্ত (বেলা ১১টা) অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের তিন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন দগ্ধরা। আর ওই তিন ইউনিটে আগে থেকেই রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। এতে শয্যা সংকটের দেখা দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অনেকক দগ্ধ রোগীকে মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, “চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগটি অনেকদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৭২ জন রোগীতে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “বর্তমানে হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের তিন ওয়ার্ডে ৫০ জন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দগ্ধ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে সেখানে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”