নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দ্বৈত কর পরিহার, বন্দি বিনিময় এবং যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তি ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে উভয় নেতার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
দ্বৈত কর পরিহার চুক্তিসহ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান (নবায়ন) সমঝোতা স্মারক ও উভয় দেশের যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মালেতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পৌঁছালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান ও গান স্যালুট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়।
উভয় দেশের ‘লাইন অব প্রেজেন্টেশন’ ও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে ফটো সেশনে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকেলে (২২ ডিসেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো ছয়দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছেন।
আজ সকালে মালেতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান দ্বীপদেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। এ সময় মালদ্বীপের স্কুলশিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পারফরমেন্স দেখায়। পরে দ্য মালদ্বীপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) ২১ বার গান সেলুট জানায়। মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমসহ সফরকারী দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।