নিউজ ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। জেলার সদর উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) তাদের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রাকের ধাক্কায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের লাহিনী বটতলা মোড়ে কাশেম শিকদার (৬০) নামের এক রিকশাচালক নিহত হন। একই দিন একই উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ইসলাম সরদার (৪৫) নামের এক নছিমনচালকের মৃত্যু হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নিহত নছিমনচালক ইসলাম সরদার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া কদমতলা এলাকার মৃত আনছার সরদারের ছেলে। নিহত রিকশাচালক কাশেম সর্দার একই উপজেলার আইলচারা এলাকার মৃত আহমেদ মন্ডলের ছেলে।
এদিকে রিকশাচালক নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকচালক জীবনকে (৩৫) গণপিটুনি দেয়। এতে তিনি আহত হন। তিনি খাজানগর এলাকার আসলাম হোসেনের ছেলে জীবন খাজানগর এলাকার সালাম রাইচ মিলে ট্রাকচালক হিসেবে চাকরি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাহিনী বটতলা মোড়ে রাজবাড়ীগামী দ্রুতগতির একটি ট্রাক রিকশাচালক কাশেমকে চাপা দেয়। এ সময় কাশেম রাস্তার পাশে পার্কিং করা অবস্থায় রিকশার ওপর বসে ছিলেন। ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা ট্রাকচালককে গণধোলাই দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নছিমনচালক ইসলাম সর্দার নিহত হন। উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে বারখাদা ইউনিয়নের ত্রিমোহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, রিকশাচালক কাশেম ও নছিমনচালক ইসলাম সরদারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখছে। তারা বিস্তারিত জানাতে পারবে।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মো. ওয়াহিদ বলেন, আমরা লাহিনী বটতলা এলাকায় এসে ট্রাক পাইনি। গণধোলাইয়ের শিকার ওই ট্রাকচালককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর রিকশাচালক ও নছিমনচালকের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সটি আটকের চেষ্টা চলছে।