“যুদ্ধের সময় আ.লীগের নেতারা ভারতে পালিয়েছিল”

রাজনীতি

নিউজ ডেষ্ক– বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংলাপ সংলাপ করে আর কোন লাভ হবে না। আগামী সংসদ নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। এ স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করব। কারণ এ ভয়াবহ দানবীয় সরকার জনগনের বুকের ওপর চেপে বসে আছে।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আজ (বুধবার) বিকেলে টাঙ্গাইলের পানির ট্যাংক সংলগ্ন কালেক্টরেট মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে মীর্জা ফখরুল বলেন, “গত ১৪ বছর যাবত বিএনপির ওপর অন্যায় অত্যাচার, দমন নীপিড়ন চালিয়ে আসছে। আমাদের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে খুন গুম এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তারা মামলা দিয়েছে। এবার বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তখন আ.লীগের লোকজন পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।”

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “১৯৭১ সালে আ.লীগের নেতারা পাকিস্তানিদের ভয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। আর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছেন। অন্যদিকে বেগম জিয়া তার ছোট্ট দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে ঢাকায় পাকিস্তানিদের হাতে আটক ছিলেন।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, সাবেক এমপি ও বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু সরকার, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপি নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, সাঈদ সোহরাব, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন, ফরহাদ ইকবাল এবং অমল ব্যানার্জী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু। সমাবেশে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *