নিউজ ডেষ্ক- সরকার সারে কৃষকের জন্য ভর্তুকি দিলেও সে সুবিধা ভোগ করছেন কিছু পরিবহন ব্যবসায়ী, ডিলারে এবং অসাধু ব্যবসায়ী। তাঁরা সিন্ডিকেট করে বাজারে সারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর সাথে জড়িত অবৈধ ব্যবসায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে। পরিবহনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু মালিক বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আরো বেশি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় কৃষকের ভর্তুকিতে দিনশেষে লাভবান হবেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে সুপারিশ করা হয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নের ডিলার পয়েন্টে নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি আরো কঠোরভাবে নজরদারি করা, অবৈধ সিন্ডিকেট ও ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, দেশের সব সার কারখানা মেরামতসহ নতুন সার কারখানা স্থাপনা করে সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, দেশের ডিলারদের প্রতিদিনের বিক্রয় তালিকা তৈরি ও বিক্রয় রসিদ নিয়মিত জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপস্থাপন করা।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতে টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের দাম বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। আর তাই ভারতে সার পাচার হচ্ছে কি না সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা, সব গুদামে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ডিলারদের সরাসরি সার কারখানা থেকে সার সংগ্রহ করে এলাকায় বিক্রির সুযোগ করে দেওয়াসহ নানা সুপারিশ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, “দেশে সারের কোনো সংকট নেই। সরকার ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর পরিবহন মালিকরা সার পরিবহন ধীর করে দেন। কারণ, তাঁরা তখন সার পরিবহন না করলে যে জরিমানা দিতে হবে, সার পরিবহন করলে তার চেয়ে বেশি লোকসান গুনতে হবে। তাই বাজারে সার সরবরাহ সংকটে দাম বাড়ে। আর তাই ওই সময় বিএডিসির গুদাম সারশূন্য হয়ে পড়ে। সরকারকে পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আরো নজরদারি বাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে তাইবা সাইফুল্লাহ জিএলের হেড অব লজিস্টিক আবু সিদ্দিক বলেন, “বিদেশ থেকে সার এনে আমরা সরাসরি সরকারের কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিই। এরপর সরকারের নির্ধারিত বিভিন্ন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার গুদামে পাঠানো হয়। আমাদের সার ধরে রাখার কোনো সুযোগ নেই। সিঅ্যান্ডএফ সার পরিবহন না করায় চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুই মাস ধরে আমাদের ডিএপি ৫৫ হাজার টন এবং প্রায় ১০ হাজার টন গুদামে পড়ে আছে।