নিউজ ডেষ্ক– রাজধানীর বনানীতে এক বিচারপতির ছেলের প্রাইভেটকারের সাথে এক্সিডেন্টে পা হারান বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। বর্তমানেহাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতড়াচ্ছেন তিনি। তার মেয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেট মহুয়া হাজংয় দুই সপ্তাহ দ্বারে দ্বারে ঘুরে শেষ পর্যন্ত থানায় মামলা করতে সক্ষম হন। কিন্তু মামলায় তাকে আসামির নাম দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মহুয়া।
মহুয়ার দায়ের করা মামলায় আসামিদের দেখানো হয় “অজ্ঞাতপরিচয়”। মহুয়া বলেন, তিনি গাড়িচালক সাঈদ হাসানের নাম উল্লেখ করেই মামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে তা করতে দেওয়া হয়নি।
সার্জেন্ট মহুয়ার করা মামলায় আসামির নাম না থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, “নাম না দেওয়ার কারণ কী, ঘটনা কী ঘটেছে, সেসব বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কার দোষ সেটি খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ওই ঘটনায় কার দোষ ছিল- তার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান হাফিজ আক্তার। রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বিষয়টি আমি নিজেও জানি। এ ঘটনায় আমাদের গুলশান বিভাগের বনানী থানায় ইতিমধ্যে একটি মামলাও হয়েছে, তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, “সার্জেন্ট মহুয়া আমাদেরই একজন সদস্য। যেহেতু মামলা করা হয়েছে, তাই সাধারণ মানুষ যেভাবে বিচার পান, তার বিষয়টিও সেভাবেই দেখা হবে। তার মামলার বিষয়ে গুলশান বিভাগ কাজ শুরু করে দিয়েছে।”
এদিকে সার্জেন্ট মহুয়া গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার বিচার চেয়ে তাকে পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ঘটনার ১৪ দিন পর বনানী থানা অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা গ্রহণ করেছে। সাঈদের বাবা বিচারপতি হওয়ায় এতকিছু হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহুয়ার।