নিউজ ডেষ্ক- সদ্য পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় মামলা করেছেন বিএনপির এক নেতা। জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারীবিদ্বেষী এবং মর্যদাহানিকর ভাষা ব্যবহার করায় এ মামলা করেন তিনি।
আজ (রোববার) বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার ১নং আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কুমিল্লা শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আতিকুল ইসলাম। আর এ মামলার অপর আসামি হলেন, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আতিকুল ইসলাম বলেন, “নাহিদ ডা. মুরাদ হাসানের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। যা পরবর্তীতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আপলোড দেন।”
ওই অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় ডা. মুরাদকে। আমরা মনে করি, এটি শুধুমাত্র জাইমার সম্মান হানি হয়নি, এটা পুরো নারী সমাজের জন্য লজ্জ্বার বিষয়। তাই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা মামলাটি করি। বিষয়টি ১নং আমলি আদালতের বিচারক মাজহারুল ইসলাম আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ডের নির্দেশও দিয়েছেন। যা পরবর্তীতে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ডা. মুরাদ হাসান। একই সঙ্গে জামালপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদও হারান তিনি।
এর পর গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন দেশ ছাড়েন মুরাদ। তবে তাকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেয়নি দেশটির সরকার। কানাডা প্রবেশ করতে না দেওয়ায় মুরাদ হাসান শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পথে রওনা দেন। কিন্তু আগে থেকে ভিসা না নেওয়ায় তাকে দুবাইয়ে ঢুকতে দেয়নি দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে দেশেই ফিরে আসেন তিনি।