নিউজ ডেষ্ক- দিন যতই যাচ্ছে ততোই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আজ (রোববার) বিকেলে উপজেলার ওমেদপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লা অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে সমর্থকদের সাথে নিয়ে এলাকা জুড়ে শোডাউন করেন।
এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা সমর্থকদের হাতে বড় বাঁশের লাঠি দেখা যায়। শোডাউন শেষে সমর্থকরা লাঠি হাতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে রাস্তায় মিছিলও করতেও দেখা যায়। আর এ ঘটনার পর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। তবে তার ছেলে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা বলেন, “শোডাউন নয়, তবে আজ স্থানীয় রয়েড়ার হাটবার ছিল। সেখানে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন আমার বাবা। তবে কর্মীদের লাঠিবহন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।”
আর এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে এ ঘটনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. আ. ছালেক। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি মাত্র শুনলাম, এখনই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলছি।
চলতি মাসের ২৬ তারিখ চতুর্থ ধাপে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও পঞ্চম ধাপে জেলার শৈলকুপায় ১২ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদে একই সময়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ এলাকায় চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। আর আহতদের ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।