নিউজ ডেষ্ক- কাতার বিশ্বকাপের শুরুতেই পচাঁ শামুকে পা কাটলো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৪৯তম অবস্থানে থাকা সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে লিওনেল মেসির দল।
র্যাংকিংয়ের পার্থক্যটা মাঠের খেলাতে স্পষ্ট থাকলেও এদিন সৌদির বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি আর্জেন্টাইনরা। পুরো ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও একটির বেশি গোল আদায় করতে পারেনি মেসির দল।
আর্জেন্টিনার জন্য আরও বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল অফসাইড। এক ম্যাচেই ৮ বার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছে মেসির দল। যার মধ্যে গোল বাতিল হয়েছে তিনটি। ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই র্যাংকিংয়ে ৪৫ ধাপ পিছিয়ে থাকা সৌদির বিপক্ষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্কলানির দলকে।
এদিন ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টিতে লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধেই সৌদি আরবের কাছে গোল হজম করেছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৮ মিনিটে সালেহ আলশেহরির গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে সৌদি। এরপর প্রথম গোলের ৫ মিনিটের মাথায় আবারও আরও একটি গোলের দেখা পায় সৌদি। দ্বিতীয় গোলটি আসে সালেম আলদেশওয়ারির পা থেকে।
ম্যাচের শুরুতে ৬ষ্ঠ মিনিটেই মেসির দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক। ৮ম মিনিটে কর্নার কিক করেন মেসি। আল ওয়েসিস পাঞ্চ করে বল ঠেকিয়ে দিলেও প্যারেদসকে ফেলে দেন আল বুলাইহি। ভিএআর চেক করে রেফারি জানালেন এটা ফাউল এবং পেনাল্টি।
২২তম মিনিটে একটি গোল করেন মেসি। কিন্তু লাইন্সম্যান আগেই ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়িয়ে থাকেন। জানালেন এটা ছিল অফসাইড। ২৮ মিনিটে লওতারো মার্টিনেজ গোল করেন। কিন্তু এবারও ভিএআরের কারণে দেকা গেলো তিনি ছিলেন অফসাইডে। সুতরাং গোল বাতিল। ৩৪ মিনিটে আরও একবার সৌদির জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু তার আগেই সাইড রেফারি জানিয়ে দেন- এটা ছিল অফসাইড।