নিউজ ডেষ্ক- ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কাশিয়ারচর এলাকায় নার্সারি করে সফল হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা জেসমিন আরা। নিজেকে শুধু গৃহিণী হিসেবে নয়, সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে নার্সারির মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে সফলতার পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ময়মনসিংহের পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ঘেঁষা গৌরীপুর উপজেলার কাশিয়ারচর এলাকায় ‘আধুনিক নার্সারি অ্যান্ড হর্টিকালচার ফার্ম’ নামে একটি নার্সারি গড়ে তুলেছেন তিনি। জেসমিন আরা নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গৃহিণীর পরিচয়ের পাশাপাশি সফল উদ্যোক্তার পরিচয় গড়ে তুলেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় জেসমিন আরা জাতীয় পুরষ্কার লাভ করেন।
জেসমিনের নার্সারিতে গিয়ে দেখা যায়, নার্সারিতে দেশি-বিদেশি জাতের আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, কমলা, আমড়া, লেবু, জাম্বুরা, লটকনসহ বিভিন্ন জাতের অসংখ্য চারা রয়েছে। শ্রমিকদের পাশে দাড়িয়ে পরিচর্যার কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন জেসমিন। তার নার্সারিতে কাজ করা শ্রমিকরা এখানে কাজ করে তারাও স্বচ্ছল হয়েছেন।
নারী উদ্যোক্তা জেসমিন আরা বলেন, আমি পুরোদস্তুর গৃহিনী ছিলাম। কিছু একটা করার প্রবল ইচ্ছা থেকে স্বামী ময়মনসিংহ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিনা) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামছুল আলম মিঠুর পরামর্শ নিয়ে ২০১৯ সালে নার্সারি শুরু করি।
তিনি আরো বলেন, ধীরে ধীরে সফলতা পেয়েছি। বর্তমানে ১২ একর জায়গায় ৩০০ প্রজাতির উন্নত মানের ৪ লক্ষাধিক চারা রয়েছে আমার নার্সারিতে। নার্সারিতে নিয়মিত ২১ জনসহ ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমার নার্সারির চারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতারা এসে নিয়ে যাচ্ছে। বছরে ৩৫ লাখ টাকার চারা বিক্রি করতে পারি।
জেসমিন আরো বলেন, নারীদের আত্মনির্ভরশীল হতে নিজের ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমের প্রয়োজন। সঠিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কোনো কিছুর উদ্যোগ গ্রহন করলে তাতে সফল হওয়া সম্ভব। অনেকে আমার কাছে নার্সারি করার পরামর্শ নিতে আসেন। আমি তাদের যথাযথ পরামর্শ দিয়েছি। অনেকে নার্সারি গড়েও তুলেছেন।
জেসমিনের স্বামী শামছুল আলম বলেন, আমার স্ত্রী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নার্সারিতে সময় দেন। সে কঠোর পরিশ্রম করে সফল হয়েছেন।