নিউজ ডেষ্ক- যশোর জেলায় বিষমুক্ত বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতকালীন এই সবজি বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। বাঁধাকপি চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। দেশে যশোরের উৎপাদিত বাঁধাকপির বেশ সুনাম রয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। এবছর বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
জানা যায়, দেশের সবজির একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয় যশোরে। যশোর সদর উপজেলার চুড়মনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর ও হৈবতপুর ইউনিয়নের শাহাবাজপুর গ্রামে সবজি প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সদর উপজেলার প্রায় সবগুলো গ্রামেই বাঁধাকপির চাষ করা হচ্ছে। গ্রামগুলোর মাঠ আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরা। জমি গুলোতে বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজির চাষ হচ্ছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্র মতে, যশোর সদর উপজেলায় আগাম শীতকালীন আগাম সবজির চাষ হয়েছে ২৮শ’ হেক্টর। শুধু মাত্র বাঁধাকপি চাষ হয়েছে ৬ শ’১৩ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে সবজি খ্যাত হৈবতপুর ইউনিয়নে ১৮০ হেক্টর, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে ১৫০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধা কপির চাষ হয়েছে। ভরা মৌসুমে চাষের পরিমাণ আরও কয়েকগুন বাড়বে।
আব্দুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বারোমাস সবজির চাষ করি। তবে বাঁধাকপির চাষ বেশি করি। এবছর ১ বিঘা জমিতে আগাম আগাম শীতকালীন বাঁধা কপির চাষ করেছি। এবছর বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি দেশের বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করে লাভবান হবো।
আরেক কৃষক রাজু আহমেদ বলেন, শীতের শেষের দিকে সবজির ভালো দাম পাওয়া যায় না। তাই আমরা আগাম চাষ করি। বাজারে আগাম সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। এতে আমরা লাভবান হতে পারি।
শাহবাজপুর গ্রামের কৃষক শামসুল ইসলাম বলেন, এবছর আমি ২ বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপির চাষ করেছি। তবে শীতের মৌসমে চাষের জমিরে পরিমাণ আরো বেড়ে ৮ বিঘা হবে। আগাম সবজির বাজারদর ভালো দাম পাওয়া যায়। তবে বিদেশে রপ্তারি করলে আরো বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপ্না রানী বলেন, এই ইউনিয়নের আব্দুলপুর ও চুড়ামনকাটির মাঠে সবচেয়ে বেশি বাঁধাকপির চাষ করা হয়। এখনকার বাঁধাকপি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। এই সবজি চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন কপি চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মঞ্জরুল হক বলেন, সবজি উৎপাদনে যশোরের বেশ সুনাম রয়েছে। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি এখানকার সবজি। যশোরের বাঁধাকপি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের বাজারে রপ্তানি করা হয়। আমরা সবজি উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষিদের সব ধরনের সহযোগীতা করছি।