নিউজ ডেষ্ক- ক্রেতা সংকটে পড়েছে হিলির পেঁয়াজের আড়তগুলো। পূজাকে কেন্দ্র করে চাহিদার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এখন বাজারে ক্রেতা কম আসা ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে গুদামের পেঁয়াজ পঁচে যাচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা। তারা খুবই অল্প দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, আগে প্রতিদিন ভোরে পেঁয়াজের আড়তগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় থাকতো। কিন্তু এখন বাজারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। আড়তে কোনো ক্রেতা নেই তবুও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। গুদামের বস্তা ভরা পেঁয়াজে মেঝেতে ঢেলে পঁচা পেঁয়াজ বেছে আলাদা করছেন তারা। ভালো পেঁয়াজগুলো আলাদা করে ফ্যানের নিচে রাখছেন যেনো বাতাসে শুকিয়ে যায়। আর অর্ধপঁচা গুলো বস্তায় ভরে পানির দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই হলো হিলি স্থলবন্দরে এলাকার বাণিজ্যিক পেঁয়াজের আড়তের বেহাল দৃশ্য।
একটি আড়তের ম্যানেজার ও আমদানিকরক বাবলু বলেন, প্রত্যেক বছর ঈদ ও পূজার সময় সরকারি লম্বা ছুটির কারণে আমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারি না। এই দুই ছুটিতে পেঁয়াজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। তাই আমরা আমদানি করে থাকি। এবছর পূজার ছুটির আগেই পেঁয়াজ আমদানি করেছিলাম। সাধারণত পেঁয়াজ বন্দর থেকে বিক্রি হয়ে গেলেও বৃষ্টির কারণে এবার তা হয়নি। তাই গুদামে এনে রেখেছি। এখন ক্রেতার সংকট ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে পেঁয়াজ পচন ধরেছে। তাই সব পেঁয়াজের বস্তা ঢেলে ভালো পেঁয়াজ আলাদা করছি। আর অর্ধপচা পেঁয়াজ ১৫০-২০০ টাকা বস্তা বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা প্রতি বছর পূজার আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। এবছর ও আমদানি করেছি। তবে এবার চাহিদার তুলনায় সারা দেশে পেঁয়াজের আমদানি বেশি হওয়ার কারণে দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট। এরই প্রভাব পড়ছে হিলি স্থলবন্দরে।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আড়তগুলোতে প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে আমদানিকারকদের গুদামে।