নিউজ ডেষ্ক- আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। এ সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে।’
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নবীন দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে এটা স্বীকৃত যে বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে হাইব্রিড সরকারের দেশ বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক একটা কনভেনশন হয়েছে। গণতান্ত্রিক সব দেশকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশকে তারা আমন্ত্রণ জানায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই, হাইব্রিড শাসন চলছে সেহেতু বাংলাদেশ এখানে যুক্ত না।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। এরা দিনের ভোট রাতে চুরি করে, বিনা ভোটের সরকার বলে জণগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়িত্ববোধ নাই। এজন্যই তারা এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি করে। পৃথিবীতে এমন কোনো নজির নাই।’
‘দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে’ অভিযোগ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা শুধু আমরা বলছি না। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র র্যাব ও এর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।’
শ্রীলংকার অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুই ভাইয়ের শাসনে সেখানে স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্র চলেছে। তারা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেনি, দুর্নীতি করেছে। মেগা প্রজেক্ট করে মেগা দুর্নীতি করেছে। শ্রীলংকার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বাংলাদেশ সামাজিক, রাজনৈতিক দিক থেকে শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ অবস্থানে আছে। এখন বাকি শুধু রাস্তায় নামা।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র সদস্য।